ট্রাম্পের ভোটদোলায় পর্যদুস্ত কমলা হ্যারিস!
দীর্ঘ ৪ বছর পরে হোয়াইট হাউসে ফিরে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পই আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট! ৭ কোটি ১০ লাখের বেশি মার্কিনের ভোট পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। কিভাবে এ বিজয় ঘরে তুললেন ট্রাম্প- প্রথমতঃ ইলেক্টোরাল কলেজে ২৭০-র গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের ঝুলিতে ২৭৭টি ইলেক্টোরাল কলেজ আছে। আর কমলা হ্যারিসের ঝুলিতে আছে ২২৪টি। ফলে, কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোটদুলায় কমলা হ্যারিস একেবারে পর্যদুস্ত। যে সাতটি প্রদেশের উপরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করছিল, সেখানে ট্রাম্পের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না কমলা। ৭-০ গোলের মত হল ফলাফল। আর সেই রাজ্যের ভোটদোলায় হাওয়াকে নিজেদের দিকে নিয়ে ট্রাম্প পৌঁছে গেলেন বিশ্বরাজনীতির ক্ষমতার কেন্দ্র খ্যাত হোয়াইট হাউসে।
সংবাদসংস্থা এপির রিপোর্ট অনুযায়ী, দোলাভোটের রাজ্য মিশিগানে জয়ের ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুমরে নির্বাচনী কলেজ রয়েছে ২৯২টি। আর কমলা হ্যারিসের টুমরে রয়েছে ২২৪টি ইলেক্টোরাল কলেজ। ২০২০ সালে জো বাইডেনের ঝুলিতে ৩০৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ছিল। ট্রাম্প পেয়েছিলেন ২৩২টি। মিশিগানে সরকারিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। গতবার ট্রাম্প হেরে গিয়েছিলেন। এবার জিত নিয়েছেন।
যদিও এখনও গণনা চলছে। নির্বাচনের পুরোপুরি গণনা প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তিনটি দুলাভোট প্রদেশের গণনা এখনও বাকি আছে – নেভাদা, অ্যারিজোনা এবং মিশিগান। কিন্তু উইসকনসিনেও জিতে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে রাজ্য থেকে ১০টি ইলেকটোরাল কলেজ আসে। ২০১৬ সালে যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখনও সেই প্রদেশে জিতেছিলেন। স্বল্প ব্যবধানে জিতেছিলেন। ২০২০ সালে হেরে গিয়েছিলেন। জিতেছিলেন জো বাইডেন। এবার কমলা হ্যারিস এবং ট্রাম্প দু’জনেই উইকনসিনে জোর দিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত ট্রাম্পই জিৎ নিয়ে নিলেন।
এদিকে ট্রাম্পের বিজয় জানার পর ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা পাওয়া গেলো আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে। ডোনাল্ড ট্রাম্প জিততেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিনন্দন জানানো হয়েছে। আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় অভিনন্দন ডোনাল্ড ট্রাম্প! সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে যুদ্ধ বন্ধ হোক। দেশে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে অগণতান্ত্রিক শাসন বন্ধ হোক। ধর্মীয় উগ্রবাদীদের আস্ফালন বন্ধ হোক।’