মুক্তকথা সংগ্রহ।। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ভারত ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য টিকা তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ভারতের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৄতিতে সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে যে “বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন” আর “গাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স” ১৫কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দিতে যাচ্ছে তাদেরকে অর্থাৎ বিশ্বখ্যাত ভারতের টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটকে। এ নিয়ে চুক্তিও হয়ে গেছে। এর ফলে টিকার ‘ডোজ’ তৈরীর মূল বাঁধা অর্থ সংকট আর রইলো না। তৈরি হবে ১০ কোটি করোনার টিকা, আর বিল গেটসের সংস্থার সাথে এমন চুক্তি্ই হয়েছে ভারতীয় সংস্থার।
শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বের মধ্যেই প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি টিকা তৈরি করে সিরাম ইনস্টিটিউট। এই সংস্থা প্রতি বছর গড়ে ১৩০ কোটি টিকার ডোজ তৈরি করে। অন্য দিকে ‘গাভি’ হল প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারিপে তৈরি সংস্থা, যারা বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলিতে টিকা সহজলভ্য করে তুলতে অর্থ ও অন্যান্য সাহায্য করে।
করোণার সংক্রমন বাড়ছে বৈ কমছে না। কোন ধরনের টিকা জাতীয় ঔষধ ছাড়া এ মহামারী সংক্রমনকে আটকানো্ও যাবে না। টিকা তৈরীর জন্য ভারত এখন প্রস্তুত। শুধু কোনও একটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা। এমন খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন যে হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে একমাত্র প্রতিষেধক টিকা। কিন্তু কবে সেই টিকা চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে, তার জন্য গোটা বিশ্ব হ্যাঁ করে তাকিয়ে আছে। বলা যায়, উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসাহায্য ও পরিকাঠামোও এখন ভারতের জন্য প্রস্তুত। শুধু কোনও একটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা। তার পরেই অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ১০ কোটি করোনার টিকার ‘ডোজ’ তৈরি হবে।
জানা গেছে, ভ্যাকসিনের দৌড়ে থাকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্স-এর দাম পড়বে ৩ ডলার, যা ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ২২৫ টাকার কাছাকাছি। সংস্থা জানিয়েছে, এই ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ‘গাভি’-কে দেবে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ‘গাভি’-র কাছ থেকে সেই অর্থ পাবে সিরাম ইনস্টটিউট।