1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
দর্পনে লেখকের প্রতিচ্ছবি - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

দর্পনে লেখকের প্রতিচ্ছবি

তনিমা রশীদ॥
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১
  • ১৮৭৮ পড়া হয়েছে
তনিমা রশীদ
৩য় বর্ষের মহাবিদ্যালয় ছাত্রী

কোনো সভ্য জাতিকে অসভ্য করার ইচ্ছা যদি তোমার থাকে তাহলে তাদের সব বই ধ্বংস কর এবং সকল পন্ডিতকে হত্যা কর। তোমার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে। লেখক, সাহিত্যিক ও পন্ডিত জাতির আত্মা। তাই তাদের ধ্বংস করার মাধ্যমেই এক সভ্য জাতিকে অসভ্য জাতিতে পরিণত করা যায়। দেশকে বা জাতিকে উন্নত করতে চেষ্টা করলে সাহিত্যের সাহায্যেই তা করতে হবে। সাহিত্যের মাধ্যমেই জাতিকে উন্নত করা যায়। তাইতো একাত্তরে পাকবাহিনী আমাদের লেখক, সাহিত্যিক ও পণ্ডিতদের হত্যা করে। এই বাংলা জাতিকে পুঙ্গ করার জন্য। এই জাতির পন্ডিত লেখকদের হত্যা করে জাতির উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে। কারণ একটি জাতি কী, তা তার সাহিত্য-সংস্কৃতিই বলে দেয়। প্রত্যেক জাতির চাওয়া-পাওয়া, তাদের প্রত্যাশা, গড়ে ওঠা, বেড়ে ওঠার রূপায়ণের দায়িত্ব পড়ে সে জাতির কবি-সাহিত্যিকের উপর। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের মানুষ, জাতি তথা সভ্যতার পরিচয় পাওয়া যায় তার সাহিত্যে। যে জাতির সাহিত্য যতো বেশি সমৃদ্ধ সে জাতি ততো উন্নত। কারণ সাহিত্য জাতির প্রতিনিধিত্ব করে।

সাহিত্য একটি জাতির জীবনের কথা বলে। একটি জাতি বা সমাজের ভাবনাচিন্তা, জীবনাচরণ মানুষের ধর্ম-দর্শন, আচার-আচরণ, স্বপ্ন-কল্পনা সব কিছু সাহিত্যের মধ্যে ফুটে ওঠে। সাহিত্য বলতে আমরা সমাজের মানুষের সুখ-দুঃখ, প্রীতি-বিশ্বাস, ন্যায়-নিষ্ঠা ইত্যাদি বাস্তব রূপায়ণ বুঝি। যা দেশ-জাতির হৃদয়ের কথা বলে। সাহিত্যে শুধু দেশ ও জাতির পরিচয় প্রকাশ পায় না। সাহিত্যে ব্যক্তির পরিচয়টিও প্রকাশ পায়। সাহিত্যে লেখকের পরিচয়, লেখকের মনের গল্প প্রকাশ পায়। সাহিত্য মানুষের অন্তর্দৃষ্টি প্রসারিত করতে সাহায্য করে। একজন সাহিত্যিক বা লেখক তার অন্তর্দৃষ্টি থেকে লেখে।
একজন অপরিচিত মিতভাষী লেখক লেখার ক্ষেত্রে বাচাল। কতো কথা-ই না সে লেখে, মনের কথা উজাড় করে লেখে তার নিজ সাহিত্যের খাতায়। কোনো মিতভাষী লেখক তার অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখা মনের কথা মুখে বলতে পারে না। সে তার লেখায় তা ফুটিয়ে তুলে। সে নিরবে একান্তে ধ্যানে বসে তার অন্তর আত্মার কথা শুনে। আর তা তার সাহিত্যের খাতায় তুলে ধরে। কোনো এক জ্ঞানী বলেছেন “প্রার্থনা হলো আল্লাহ বা ভগবানের সাথে কথা বলা আর ধ্যান হলো আল্লাহ বা ভগবানের কথা শুনা”। আর আল্লাহ বা ভগবান আমাদের মনে বা হৃদয়ে বাস করেন অর্থাৎ আল্লাহর কথা শুনা মানে নিজের মনের কথা শুনা। আর তার মনের কথা খাতায় তুলে লেখক তার প্রতিচ্ছবি দেখে। একজন লেখকের লেখা তার জন্য দর্পন। সেই লেখার দর্পনে লেখক তার আসল রূপ দেখে। এবং সেই রূপ থেকে সে তার উত্তম রূপ খুঁজে পায়। একজন লেখকের লেখায় তার বাস্তব প্রতিরূপ নিহিত। লেখক তার লেখায় শুধু নিজের প্রতিরূপ খুঁজে পায় না সমাজ ও অন্যের প্রতিরূপও খুঁজে পায়। লেখক তার লেখায় সামাজকে দর্পন দেখায়। লেখক তার লেখায় একটি জাতির গড়ে ওঠা, বেড়ে ওঠার কথাই লেখে না। একটি জাতি গঠনের পন্থাও বলে দেয়। মানুষকে মানুষ হওয়ার রাস্তাও দেখায়। এটাই মানবমঙ্গলের শ্রেষ্ঠপথ।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT