বিয়ের সবকিছু ডাকাত নিয়ে গেলো
মেয়ে বিয়ের কি হবে মিছির মিয়ার
কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজারগাঁও গ্রামের মিছির মিয়ার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিছির মিয়ার ঘরের কেচি গেইট ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে মুখোশধারী একদল ডাকাত ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে থাকা প্রায় ৪ ভরি স্বর্নালঙ্কার ও নগদ ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের কাজ চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী মিছির মিয়া।
জানা যায়, ঘরের দরজা ভেঙ্গে মুখোশধারী একদল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে হাত,পা, মুখ, চোঁখ বেঁধে ফেলে। পরে এক এক করে ঘরে থাকা সোনা ও টাকা নিয়ে যায়। ঘরের ভেতরে থাকা লোকজন হাল্লা চিৎকার করলে স্থানীয়রা চলে আসায় ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মিছির মিয়া জানান, ‘রোববার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মুখোশধারী ডাকাত দল বাসঘরের কেচি গেইট ও দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী মেয়ে ছেলে সহ সবাইকে বেঁধে ফেলে এবং তাকে মারধর করে। এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।’
মিছির মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, ‘সোমবার ১৪ অক্টোবর আমার ছোট মেয়ের বিয়ে। ঘরের কেচি গেইট এর তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ৬ জন ডাকাত সদস্য। প্রায় ৪ বড়ি স্বর্নালঙ্গার ও নগদ ৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা সহ বিবাহ সরঞ্জাম নিয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে আমরা কি করবো বুঝতে পারছি না। এভাবে আমাদের সর্বনাশ হবে।’
ভুক্তভোগী মিছির মিয়ার মেয়ে তানিয়া আক্তার জানান-‘আমার ৩ বোন ও মায়ের কান ও নাক থেকে গলার চেইন ও নাকের ফুল নিয়ে গেছে ডাকাতরা।’ প্রতিবেশী শহীদ ও আমীন মিয়া বলেন, ‘সোমবার মিছির এর মেয়ের বিয়ে। আর আজ তার ঘরে ঢুকে ডাকাতরা সব নিয়ে গেলো। এখন মানুষটা চিস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সকলের সহযোগীতায় যেন বিয়েটা দিতে পারে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত যেন ডাকাতদের আটক এবং মালামাল উদ্ধার করা হয়।’
কমলগঞ্জ থানা কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘খবর শুনে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’