1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
দেরিতে বিচার মানেই হলো সত্যিকারের বিচারকে অস্বীকার করা - মুক্তকথা
রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন

দেরিতে বিচার মানেই হলো সত্যিকারের বিচারকে অস্বীকার করা

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৫৩০ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা প্রতিবেদন।। ইংরেজীতে একটি কথা আছে-“justice delayed, justice denied”. অর্থাৎ কি-না বিচারে বিলম্ব মানেই হলো বিচারকে অস্বীকার করা। কথাটি শুধু যে ইংরেজীতে আছে আর কোন ভাষায় নেই। তেমন নয়। ইংরেজরা তাদের চাতুর্যের দ্বারা বিশ্বের বহুসংস্কৃতির বহু সামগ্রী তাদের করে নিয়েছে। যাক সে কথা, দুনিয়ার বহু ভাষা-ভাষীর মাঝেই এ কথাটি রয়েছে। যে কোন বিচারকে বিলম্বিত করার অর্থই হলো বিচারকে এড়িয়ে যাওয়া। এই এড়িয়ে যাওয়া, বিচার না হওয়ার একটি কৌশল মাত্র। ছোটবেলায় কত দেখেছি আর শুনেছি, কোন ঘটনাকে এড়িয়ে যেতে হলে অভিবাবকরা বলতেন- ‘এখন কিছু বলো না। একটু ধৈর্য্য ধর দেখবে ধীরে ধীরে বিষয়টি হজম হয়ে যাবে।’ অনুরূপ এখনও দেখি আর শুনি। তাইতো বলা হয় ‘বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁধে।’ শুধু কি কাঁদে সকলকে কাঁদায়। এটি দুনিয়াজোড়া অসমর্থিত একটি অপকৌশল। দুনিয়ার সকল মানুষই, বিচারে বিলম্ব মানেই যে বিচার না হওয়া, বিষয়টি সকলেই জানেন ও বুঝেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে একমাত্র জোর খাটানো ছাড়া করার মত আর কোন রাস্তা নেই।
বিচার হবে সাথে সাথে। সাথে সাথে বলতে এমন নয় যে আজকের বিচার আজকেই করতে হবে। যে কোন ঘটনার প্রেক্ষিত বিচার বিবেচনায় এনে যত স্বল্প সময়ে বিচার অনুষ্ঠিত হবে ততবেশী করে ন্যায় বিচার ও তার সুফল পাওয়ার সবচেয়ে নিশ্চয়তা থাকে।
যেমন আজ ৩০সেপ্টেম্বর, বুধবার ২০২০সাল, বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লালকৃষ্ণ আদবানী, মুরলীমনোহর জোশী, উমা ভারতী-সহ সকল অভিযুক্ত বেকসুর খালাস হয়ে গেলেন। লখনউ-এর বিশেস আদালতের রায়- ১৯৯২সালের ৬ডিসেম্বরের ওই ঘটনার পেছনে কোন ষড়যন্ত্র বা পূর্ব পরিকল্পনা ছিল না। পুরোটাই ‘হঠাৎ ঘটে যাওয়া’ স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের ফল। খুবই সতর্কতার সাথে, অভিযুক্তরা খালাস হয়ে যাওয়ার আদালতের এই রায়ের খবরটি প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা।

সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে যে, এল কে আদভানিসহ মোট ৩২জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়ার রায়ে বোর্ডের সদস্য আইনজীবী জাফর ইয়াব জিলানি জানিয়েছেন অভিযোগ নিয়ে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেছেন ঘটনার দিন কিভাবে অভিযুক্তরা মঞ্চ থেকে উস্কানিমূলক ভাষণ দিচ্ছিলেন বাবরি সমজিদ ধ্বংসের দিন। বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনিশ্চিত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শতাব্দী প্রাচীন বাবরি মসজিদ ধ্বংস ঘটনায় ৪৯জনকে অভিযুক্ত করে মামলা হয়েছিল। সে সময়ের আদালতই ৩২জনকে অভিযুক্ত করেছিলেন। অবশ্য দীর্ঘ এ সময়ের ব্যবধানে ১৭জন মারাই গেছেন। প্রায় ২৮ বছর পর ওই মসজিদ ভাঙ্গার ওই মামলার রায় হলো আজ ৩০সেপ্টেম্বর ২০২০। সিবিআই আদালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমার রায় যাদব মোট ২হাজার ৩০০পাতার ওই রায়ে বলেন-“মসজিদ ভাঙ্গায় অভিযুক্তদের কারো হাত ছিল না। উন্মত্ত জনতাই এ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। এর পেছনে সমাজবিরোধীদের হাতও ছিল। অভিযুক্তরা বরং মসজিদ ভাঙ্গায় বাধা দেওয়ারই চেষ্টা করেছিলেন।”

‘অল ইণ্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকী বলেছেন, ২৭ বছর আগে দিনের আলোয় অযোধ্যাতে ওই ঘটনা ঘটেছিল। এতে আদালতের রায়ে এমন শাস্তি দেয়া উচিৎ যাতে দেশে পুনরায় কোনো ধর্মীয় স্থানের বিরুদ্ধাচরণে কারো কোনো সাহস না হয়।
ভারতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই রায়ের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, এটি রামজন্মভূমি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে তার পরিপন্থী ও সংবিধানের বিচারের বিরোধী।
হারুনূর রশীদ।।  টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস, ইত্তেফাক অনুস্মরণে সংগৃহীত

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT