মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ মৌলভীবাজারে লক ডাউন চলছে। তবে খেটে খাওয়া নিরীহ গরীব মানুষ পড়েছেন বিপাকে। যারা রিক্সা চালায়, বেবীটেক্সী চালায়, টমটম চালায় তাদেরতো গাড়ী নিয়ে বের হতেই হয়। ছোট-খাটো ব্যবসার মালিকরাও হয়েছেন বিশাল ক্ষতির সন্মুখীন। শহরের ফলমূল বিক্রেতা ও সব্জি বিক্রেতা হয়েছেন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত। একজন ফল বিক্রেতা বলেন যে ৩/৪দিন হয় লক্ষ টাকা দিয়ে ফল এনেছিলেন। এই লকডাউনে এক দিনেই পঁচে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় অর্ধেক। একই অবস্থা একজন সব্জি বিক্রেতারও। এখন সরকার যদি সাহায্য না করেন তা’হলে বউ-বাচ্চা নিয়ে উপুসে দিন কাটাতে হবে। এচিত্র জেলার ৭টি উপজেলার।
এতো হলো লকডাউনের একদিকের অবস্থা। অনেকটা একই অবস্থা ছোট ছোট যানবাহনের বিষয়েও। গাড়ী নিয়ে ঘর থেকে বের না হলে এদেরও উপোস করেই কাটাতে হবে।
ভিন্ন চিত্র হলো- অবাধে চলছে গণপরিবহন। ঢাকা বা অন্যান্য এলাকা থেকে ছেড়ে আসে বড় বড় বাসগুলো অবাধে। এখান থেকেও ছেড়ে যায়। মৌলভীবাজার শহরে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও লোক চলাচল স্বাভাবিক আছে। সোমবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে দেখা গেছে ছোট ছোট যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে। দূরপাল্লার কিছু গাড়িও ছেড়ে গেছে। লোকজন অবাধে চলাচল করছে, খুব কম লোকই মাস্ক পড়ছেন।
এপর্যন্ত জেলায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৮৫টি এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩৪৫টি, বাকী আছে ১৪০টি। পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭৬জন। মারা গেছেন ২৪জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৬২টির মধ্যে ১৯টি পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ জন ও হোম আইসোলোশনে আছেন ১২৫ জন।
টিকার জন্য জেলায় এপর্যন্ত রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৯৫১ জন এরমধ্যে টিকা গ্রহন করেছেন ৬৪ হাজার ৩৯০ জন।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, সকাল ১১ ঘটিকা থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে মানুষকে বুঝানোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে, যদিও তা চোখে পড়েনি।
|