মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। ‘সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ’ সংক্ষেপে সিপিডি বাংলাদেশ সরকারকে প্রস্তাবনা দিয়েছে। তাদের প্রস্তাব দেশের প্রায় ২কোটী দরিদ্র পরিবারকে প্রতি মাসে নগদ ৮হাজার টাকা হিসেবে সহায়তা দিতে হবে। এই সহায়তা কমপক্ষে আগামী ২মাস পর্যন্ত দিতে বলেছে সিপিডি। প্রতিষ্ঠানটি হিসেব দেখিয়ে বলেছে এই সহায়তা দিতে সরকারের খরচ হবে প্রায় ৩০ হাজার কোটী টাকা। দেশের আয়-রোজগার ছাড়া প্রান্তিক দরিদ্র মানুষদের এই সহায়তা দিলে তারা কোনভাবে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উঠতে পারবে। এছাড়াও এ সহায়তা কার্যক্রম শুরু হলে এর ফলে দেশের পণ্য ও সেবা খাতে প্রায় ২ লক্ষ কোটী টাকার চাহিদা সৃষ্টি হবে। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিও মাটি ফুড়ে উঠতে পারবে। একটু চাঙ্গা হয়ে আসবে।
সিপিডি’র প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১৬সালের খানা জরিপ অনুযায়ী ১০হাজার টাকারও কম আয় করে এমন পরিবারের সংখ্যা ১কোটী ৭০লক্ষ। এসব পরিবারের মোট লোকসংখ্যা ৬কোটী ৮৪লক্ষ। আবার, ১১হাজার টাকার কম আয় করে এমন পরিবারের সংখ্যা ১কোটী ৯০লক্ষ। এদের জনসংখ্যা ৭কোটী ৫৭লক্ষ জন। করোনা মহামারীর সময় এদেরকে প্রস্তাবিত পরিমাণ অর্থ সহায়তা দিলে দেশের অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব অব্যাহত থাকবে।
গত সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি এমন প্রস্তাব তুলে ধরে। করোনা পরিস্থিতিতে ‘সরকারের গ্রহন করা পদক্ষেপসমূহের কার্যকারীতা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও আয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সিপিডি’র প্রাথমিক বিশ্লেষণ ও প্রস্তাব’ শীর্ষক সিপিডির ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডি’র গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান। আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডি’র ‘অনারারী ফেলো’ ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
এই অর্থ বন্টনের পদ্বতি ব্যখ্যা করে আরো বলা হয় যে এ অর্থ ২মাসে মোট ৮সপ্তাহে বন্টন করা যায়। এ লক্ষ্যে সরকারকে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিটি গঠন করতে হবে।