সাধারণ মানুষ যদি সচেতন হয়ে উঠে এবং সময়মত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারে তা’হলে ছোট-বড় অনেক ভুলেরই সংশোধন সম্ভব। তার প্রমাণ ইউনাইটেড এয়ালাইন্স প্রধানের দোষ স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা। আর অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক ওই খবরটি ভিডিওসহ প্রকাশ করেছে গত বুধবার, লন্ডনের বিখ্যাত সংবাদপত্র ‘দি গার্ডিয়ান’।
এমনিতেই স্বীকার করেননি। ঘটনার পর যখন কোম্পানীর শেয়ারমূল্য প্রায় শতকোটি টাকার মত কমে যায় তখন তার হুশ হয়। গেল রোববার, ৯ এপ্রিল সিকাগো’র ‘ওহারে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে’ জোরপূর্বক বিমানপুলিশ দিয়ে একজন যাত্রীকে অন্যায়ভাবে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে দেয়ার অপরাধ স্বীকার করে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের প্রধান কর্মাধ্যক্ষ (সিইও) ওসকার মনজ দ্বিতীয় বারের মত সাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
শুধু দোষ স্বীকার নয়, তিনি বলেছেন এ নমুনায় বর্বরোচিতভাবে একজন যাত্রীকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে দেয়া সত্যিই ভয়ঙ্কর!
প্রথমে তিনি বলেছিলেন যাত্রীদের আসন পুনঃসঙ্কুলানের জন্য তাকে নামানো হয়েছে এবং তিনি খুবই সমস্যাসৃষ্টিকারী আর যুদ্ধংদেহী যাত্রী ছিলেন। পরের দিনই যখন দুনিয়ার সংবাদ মাধ্যমে ‘ভিডিও ফুটেজ’সহ খবর সয়লাভ হয়ে গিয়ে তার কোম্পানীর শেয়ারে ধ্বস নামে তখন সুর পাল্টিয়ে আসল কথা স্বীকার করে এই ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। বললেন তার কাজের আমলে আর কোনদিন এমন ঘটনা ঘটবে না।
ওই যাত্রীকে ‘বাধাদানকারী ও যুদ্ধংদেহি’ বলা এবং ‘বিমানকর্মিরা প্রচলিত নিয়ম পালন করেছে’ বলার কারণে মনজ-কে গত মঙ্গলবারেই মারাত্মকভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো ওই যাত্রী চীনা মানুষ হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে কারণ ভিডিও সংবাদ সুদূর চীনে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।