মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ অকালে ঝড়ে যাওয়া ওই কিশোরী আর কুমতলবি দিহানের পরিচয় সেই ফেইচবুক যোগাযোগের মধ্য দিয়ে। যোগাযোগ ভালবাসায় রূপ নেয়। পশুপ্রবৃত্তির দিহান তাকে ডাকে। কিন্তু দুশ্চরিত্র দিহানের মনে ভালপাওয়ার নমুনায় এমন নিদারুণ পৈশাচিক ভাব কাজ করছে যদি জানতো তা’হলে কোনদিনই মেয়েটি ওখানে যেতো না। এটাই স্বাভাবিক। পশু প্রবৃত্তির দিহান কিশোরীর সরল মনের সেই না জানা দিকটির সুযোগ নিয়েছে। দিহানের কাছে যাওয়ার পর যৌন প্রস্তাবে নিশ্চয়ই মেয়েটি নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং ভয়ে অর্ধমৃত হয়ে পড়ে। ভাল পাওয়ার নামে এ এক শাস্তিযোগ্য মিথ্যাচার, হটকারীতা। যার ফল মানবমৃত্যু! পশু তার দোষ স্বীকারও করেছে। এমন পশুপ্রবৃত্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া বাঞ্চনীয়। জীবন সংহারী এমন প্রবঞ্চনার শাস্তি মৃত্যু হওয়া যুক্তিযুক্ত বলেই মনে করি।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য “ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথে ইঞ্জুরি পাওয়া গিয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।” এ ছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এর কথা। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন যে “ডিএনএ প্রোফাইলিং এর জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে চেতনা নাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে কিনা, তার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে কেমিক্যাল পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এসব রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
সংবাদ মাধ্যম থেকেই জানা যায, গত ৭ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ফোন করে দিহান তার কলাবাগানের ডলফিন গলির বাসায় আসতে বলে। বাসায় আসার এক পর্যায়ে দিহান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহান তার তিন বন্ধুকে ফোন করে ডেকে আনে। পরে তারা অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা দিহানকে একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে নিহত ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পেয়েছেন তারা। তবে অন্য আঘাতের চিহ্ন পাননি। সূত্র: দি বিজনেস ষ্টেণ্ডার্ড ও ইত্তেফাক
|