লণ্ডন।। মেয়র সাদেক খান মারমুখো হিংস্র অপরাধ দমনে আগামী মঙ্গলবার লণ্ডনে শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছেন। তিনশত বাড়তি পুলিশ কর্মি রাস্তায় নামানো হয়েছে। মেয়র খান, স্বরাষ্ট্র সচীব এম্বার রুডের সাথে এই শীর্ষসভা আহ্বান করেছেন। একই সাথে তিনি লণ্ডনের এমপি’দের, কাউন্সিল লিডারদের এবং লণ্ডন এসেমব্লীর সদস্যদের সাথে শীর্ষ বৈঠকে বসবেন।
বিগত সপ্তাহের মধ্যে লণ্ডন শহরে ৬জনের প্রাণহানীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়র এই শীর্ষ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার সিটি হলে এই শীর্ষসম্মেলন হতে যাচ্ছে।
নগর পুলিশ কমিশনার ক্রেশিদা ডিকও এই শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। তিনি বলেছেন, অপরাধীদের মোকাবেলার প্রশ্নে পুলিশ কখনই রাজধানীর রাস্তার “নিয়ন্ত্রণ” হারায়নি, কেবলমাত্র অতি সাম্প্রতিক কিছু চাকু মেরে হত্যাকাণ্ড ছাড়া।
মেয়র খান বলেছেন, রাজনীতিবিদসহ লণ্ডনবাসী নাগরীকদের তিনি জানেন, গোটা নগরজীবনকে চাবুকের ঘা’য়ের মত যন্ত্রণাদায়ক করে তুলেছে যে উগ্র হিংসাত্মক অপরাধ একে দমনে নগরবাসী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মেয়র হিসেবে আমার কাজের প্রধান অগ্রাধিকার নগরবাসীদের নিরাপদ রাখা। আমি প্রত্যেককে পুনঃনিশ্চিত করছি যে, যা যা করা প্রয়োজন আমাদের ক্ষমতানুসারে সবকিছুই আমরা করছি।
লণ্ডনের রাস্তায় হিংস্র চাকু মারা অপরাধের কারণে সাথে সাথে বিহীত করতে দেরী হয়েছে এমন অভিযোগে অতি সম্প্রতি মেয়র তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে এই শীর্ষ সম্মেলনের আহ্বান জানালেন। এই শীর্ষ সম্মেলনে হিংস্র মারণাত্মক অপরাধ দমনে এমপি ও কাউন্সিল নেতৃত্বের সাথে স্বল্পম্যাদী ও দীর্ঘম্যাদী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বিবিসি’র সাথে এক সাক্ষাতকারে মেয়র খান, রাস্তায় পুলিশ কর্তৃক পথচারীদের দাড় করিয়ে খোঁজ নেয়া ও সন্ধান চালানোর পক্ষে মত প্রকাশ করেন। তার মতে এ কাজটি একজন পুলিশ কর্মীর জন্য অমূল্য হাতিয়ার।
এ বছরের প্রারম্ভে মেয়র খান বলেছিলেন সরকার কর্তৃক পুলিশের তহবীল কর্তনকে পুসিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করবেন বাড়ী-ঘরের উপর বাড়তি খাজনা বসিয়ে, যার মাধ্যমে তিনি লক্ষ পাউন্ডের ব্যবস্থা করবেন। সূত্র: মেয়রের টুইটার ও সিটি এ.এম