মুক্তকথা সংবাদ কক্ষ।। ছাব্বির আহমেদ মুমেন। বাবা প্রয়াত আব্দুল মালিক ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মহকুমা খাদ্য পরিদর্শক। তাদের গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজার সদরের খালিশপুর গ্রামে। পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন মোমেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত বেঙ্গল লিবারেশন ফ্রন্টের মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে শয্যাসায়ী ছিলেন।
মোমেনের বলার ছিল অনেক। কিন্তু কাউকে মুখফুটে ভীতিকর সেসব দিনের কাহিনী বলার সুযোগ হয়নি তার। মোমেনের মনের অতল গভীরে মুক্তিযু্দ্ধের সময়কার ঘটনাবলী নিয়ে অভিমান ছিল হিমালয় পর্বতসম। হৃদয়ের গভীরে সে অভিমানকে চেপে লুকিয়ে রেখেছিলেন বিগত ৩৭টি বছর। গত ২২শে জুলাই মুক্তিযুদ্ধের সেসব যন্ত্রনাময় দিনের সুখ দুঃখের শতস্মৃতির পাহাড়সম ভারকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে অভিমানী মোমেন খুবই নীরবে নিঃশব্দে জীবনের অপারে চলে গেলেন। আর কোন দিন শোনা যাবেনা মোমেনের মনের সেই নীরব ক্রন্দন।
তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ২২শে জুলাই রোববার ভোর রাত ৩ঘটিকার সময় মৌলভীবাজারের কলিমাবাদস্ত তার নিজস্ব বাসভবন “পাক ভবন”এ পরলোক গমন করেন(ইন্না… রাজে উন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ভাই-বোন, ২ মেয়ে ও ১ছেলে এবং ২নাতনীসহ বহু আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন মোমেন। মোমেন ৮ভাই বোনের মধ্যে ৫ম ছিলেন। তার একমাত্র ছেলে বর্তমানে এমবিও অধ্যয়নরত।
মুক্তিযোদ্ধা মোমেনকে নিয়ে তার অকথিত কাহিনীর বেশ কিছু দুর্লভ ঘটনা আমরা ভবিষ্যতে পত্রস্ত করার চেষ্টা করবো।