এবারের ঈদে মৌলভীবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীগন বেশ বেহাল দশায় পড়েছেন। বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ আর শ্রীমঙ্গল উপজেলাই হলো এ জেলার পর্যটনের প্রানভূমি। এ দুই উপজেলায় রয়েছে প্রকৃতির অপার লীলা সমৃদ্ধ উঁচু-নিচু পাহাড়রাজি, সৌন্দর্য্য সুষমা ছড়িয়ে প্রকৃতি মায়ের হাসিমাখা মুখ চিরনন্দিত চা-বাগান সমূহ; হাওর, পাহাড়ের উঁচুতে প্রাকৃতিক হ্রদসমূহ, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হাম হাম জলপ্রপাত আদিবাসী পল্লী ইত্যাদি। কিন্তু এবারের ঈদে এসব দর্শনীয় স্থানে স্থানীয়-অস্থানীয় কিংবা বিদেশী কোন পর্যটকই আসেননি। বরং অনেকেই আগের ভাড়া করা সংরক্ষিত হোটেল আসন ও কক্ষ বাতিল করেছেন।
মাধবপুর হ্রদ। ছবি: অন্তর্জাল
পর্যটকদের থাকার সবচেয়ে ব্যয়বহুল আবাসন ‘শ্রীমঙ্গল গ্র্যান্ড সুলতান টি-রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ’ কোন বুকিং পাচ্ছে না। তাদের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা একটি সংবাদ মাধ্যমকে কিছুটা দুঃখ প্রকাশ করেই বলেছেন, দশ শতাংশ বুকিং হয়নি। অথচ পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলার ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে জোরদার সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রয়েছে পর্যটন বাস। তারপরও এবার ভ্রমণকারীদের সংখ্যা এতোই কম যে ছোটখাটো ব্যবসায়ীগন এমন ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন না। ভ্রমণকারীদের এমন সংখ্যাহ্রাসের কারণে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে পর্যটকের উপর নির্ভরশীল ছোট ছোট ব্যবসাগুলো।
হাম হাম জলপ্রপাত। ছবি: অন্তর্জাল |
পর্যটনের সাথে জড়িতরা বলছেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার প্রভাবে এবার ঈদের ছুটিতে মৌলভীবাজারে পর্যটক মাত্রাতিরিক্ত কম এসেছে। জেলার অভিজাত হোটেলসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের অধিকাংশই খালি পড়ে আছে। আবার অনেকেই বন্যার কারণকে একমাত্র মনে করেন না। তারা বলেন, শ্রীমঙ্গলেতো কোন বন্যা হয়নি তা’হলে এখানে পর্যটকরা আসবে না কেনো? তাদের ধারণা এ অবস্থার ভিন্ন কোন কারণ রয়েছে যা তাদের জানা নেই। অভিজ্ঞদের এসব খুঁজে বের করতে হবে। |