বিভিন্ন জাতের পাখি ধরতে শিকারিরা পাখির বিচরণস্থল বিল ও ধানিজমিতে জালের ফাঁদ পেতে রেখেছে। স্থানীয় পরিবেশকর্মীদের মাধ্যমে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ তা অবগত হলে, আজ শুক্রবার মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরের গভীর এলাকাতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে হাওর এলাকা থেকে ১৪টি এবং হাওরপাড়ের ফসলী জমি থেকে ২টিসহ ১৬টি পাখি ধরার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এসময় জালে আটকে থাকা আহত দুটি চিল উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, কিছু পেশাদার ও শৌখিন পাখি শিকারি মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওর এবং হাওরপাড়ের বিভিন্ন স্থানে জাল পেতে পাখি ধরে। রাতের বেলা পাখিগুলো বিলে এসে ফাঁদপাতা জালের সংস্পর্শে আসলেই আটকে যায়।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজার রেঞ্জের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত কাউয়াদীঘি হাওর ও হাওরপারের এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কাউয়াদীঘি হাওরে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার একাটুনা এলাকার ধানখেতে পেতে রাখা দুটি জাল জব্দ করা হয়।
কাউয়াদীঘি হাওরের ওয়াপদা সোনাপুর ও ইসলামপুর এলাকার বিভিন্ন বিল থেকে জব্দ করা হয়েছে ১৪টি জাল। প্রতিটি জালের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০ ফুট। জালে আটকেপরা আহত দুটি চিল বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র ও সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম ছারওয়ার প্রমুখ। সহযোগিতা করে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গলের একটি দল।
সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা গোলাম ছারওয়ার বলেন, অভিযানের সময় কিছু মৎস্যজীবীকে পাওয়া গেছে। তাঁরা বলেছেন, শিকারিরা দূরের এলাকা থেকে এসে জাল পেতে যান। এরপর সকাল-বিকালে এসে পাখি আটকা পড়েছে কি না সে খোঁজ নেন।