মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সরিষকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার(৫ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সরিষকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে স্কুলের বাহির থেকে পেট্রল ছুড়ে মারে স্কুলের দরজায়। এসময় দরজা ও জানালায় আগুন লাগার আগেই এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক আগুন নিভিয়ে ফেলে। আগুন লাগার সাথে সাথে শতাধিক মানুষ জড়ো হতে থাকেন। তারা জানান, এখানে সিসি ক্যামেরা আছে দেখলে চিনা যাবে কারা এমন কাজ করেছে।
মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ আহমেদ তরফদার জানান, এলাকার লোকজন হঠাৎ আগুন দেখতে পান। পরে তাদেরে সাথে আমি নিজে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলি। কারা আগুন লাগিয়েছে তা জানাযায়নি। এখানে অনেক মানুষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসছেন। সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখা যাবে কে বা কারা এমন কাজ করেছে।
স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঘন কুয়াশার মধ্যে একটি মোটরসাইকেলে তিনজন যুবক স্কুলের বারান্দায় কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনার ৫ মিনিটের মধ্যে ইউপি অফিস থেকে মুন্সীবাজার ফেরার পথে মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমদ তরফদার স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে স্কুলে আগুন দেখে এলাকাবাসীকে নিয়ে তাৎক্ষণিক আগুন নিভিয়ে ফেলেন। অজ্ঞাত তিনজন লোক মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে গেছেন।
সরিষকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সঞ্জয় দাশ জানান, আমাদের স্কুলের নৈশ্যপ্রহরী ছিলেন। গ্ৰাম পুলিশও পাহারায় ছিল। অগ্নিসংযোগ করেছে অজ্ঞাত পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সময় নৈশপ্রহরী ভাত খেতে বাইরে ও গ্রাম পুলিশ ঔষধ কিনতে বাজারে ছিলেন।।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রইছ আল রেজুয়ানসহ পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, আগুন লাগার খবর শুনে আমরা দ্রুত এসে পৌছাছি। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেখানে কেরোসিনের অস্তিত্ব রয়েছে। তবে কোনো কিছুর ক্ষতি হয়নি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান বললেন পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছে সেই জবাবে ওসি বলেন, না না কেরোসিন ব্যবহার করে কে বা কারা আগুনের চেষ্টা করেছে। আমার বাহিরের সিসি ক্যামেরা দেখতেছি। তবে অনেক কুয়াশা যার কারণে কিছু বুঝা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে আমাদের তদন্ত চলছে।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে নির্বাচন বর্জন করলেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন(পাট) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ সলমান(ট্রাক)। নির্বাচনে কারচুপি ও পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে উভয় প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করলেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিকেলে ফেইসবুক লাইভে এসে এ ঘোষণা দেন তারা।
এ ছাড়াও ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া, পেশি শক্তির প্রয়োগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন মৌলভীবাজার-৩(সদর ও রাজনগর) আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী এডভোকেট আবু বকর, একই অভিযোগে ভোট বর্জন করেন ওই সংসদীয় আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: আলতাফুর রহমান।
তৃণমূল বিএনপি’র প্রার্থী এম এম শাহীন বলেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়ম এবং জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। প্রায় সব কেন্দ্র থেকেই এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোট চলাকালীন সময়ে এসব অনিয়মের কথা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার পরও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন হয়নি। কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি নৌকার কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেন।
ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ সলমান বলেন, কুলাউড়ার প্রতিটি কেন্দ্রে অনিয়ম এবং জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোট চলাকালীন সময়ে এসব অনিয়মের কথা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকতাদের অবহিত করার পরও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।