1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বন্যার সাথে লড়ছে কমলগঞ্জ, ২ডাকাত ধরা পড়েছে বলেছে পুলিশ - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

বন্যার সাথে লড়ছে কমলগঞ্জ, ২ডাকাত ধরা পড়েছে বলেছে পুলিশ

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০১৯
  • ৪৩৪ পড়া হয়েছে

 

কমলগঞ্জের লাউয়াছড়ার রেললাইনে গাছ পড়ে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন
কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। টানা বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাহাড়ি এলাকায় রেলপথের ওপর শিকড়সহ গাছ উপড়ে পড়ে সিলেটের সঙ্গে ট্রেন চলাচল কিছু সময় বন্ধ থাকে। সোমবার, ১৫ই জুলাই সকালে ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী কালনি এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়েছিল।
জানা যায়, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর রোববার রাতের ভারী বৃষ্টিতে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর একটি বড় গাছ শিকড়সহ উপড়ে পড়ে রেলপথের উপর। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের(পথ) ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, রেলকর্মীরা পড়ে থাকা গাছটি কেটে সরানোর পর সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন, পাহাড়ি এলাকায় গাছ পড়ায় কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা ভানুগাছ স্টেশনে আটকে পড়ে।

কমলগঞ্জে দুই ডাকাত আটক ॥ একজনকে আদালতে প্রেরণ, একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রোববার দিবাগত রাত ১টায় শমশেরনগর লামানাজার এলাকা থেকে পুলিশ দুই ডাকাতকে আটক করে। আটক দুই ডাকাতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার পর এক ডাকাতকে সোমবার সকালে মৌলভীবাজারের আদালতে প্রেরণ করা হয়। অন্য ডাকাতকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আটক দুই ডাকাত হচ্ছে রাসেল আহমদ (২২) ও সেজু মিয়া (২৩)। ডাকাত রাসেলের বাড়ি আলীনগর ইউনিয়নের জালালিয়া গ্রামে ও সেজু মিয়ার বাড়ি শমশেরনগর ইউনিয়নের সতিঝির গাঁও।
স্থানীয় ও কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত ১টায় শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আনজির আহমদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল স্থানীয় লামা বাজার (পশ্চিম বাজার) এলাকা থেকে রাসেল আহমদ ও সেজু মিয়াকে আটক করে। আটককৃতরা আরও কিছু আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের নিয়ে এ রাতেই বড়চেগ গ্রামের এক ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করছি। এর পর শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ি ও কমলগঞ্জ থানার পুলিশের সমন্বয়ে একটি দল রোববার রাত ২টা থেকে বড়চেগ গ্রামের আমদানি রপ্তানিকারক তাসদিক হোসেন (এমরান)-এর বাসায় ভোর রাত ৫টা পর্যন্ত পাহার দেয়।
ব্যবসায়ী তাসদিক হোসেন বলেন, রোববার রাত ২টায় পুলিশ সদস্যরা তার বাসায় আসে। তাদের কাছ থেকেই এ ডাকাতরি পরিকল্পনার কথা তিনি জানতে পারেন। ভোর ৫টা পর্যন্ত পুরিশ সদস্যরা তার বাসায় পাহারা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
অন্য দিকে আটক দুই ডাকাতকে কমলগঞ্জ থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সম্প্রতি শমশেরনগর চা বাগানের দুটি ও আলীনগর চা বাগানের একটি বাসায় ডাকাতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয় তারা। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, আটক দুই ডাকাতের সাথে আন্তজেলা ডাকাত দলের একটি সম্পর্ক রয়েছে। আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যদের নিয়ে এসে দুই এক দিন আগে একটি বাসা চিহ্নিত করে পরে পরিকল্পনা মাফিক সে বাসায় ডাকাতি করা হতো।
আটক ডাকাত সেজু মিয়াকে সোমবার সকালে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী গ্রহন করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে আটক রাসেল আহমদকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমলগঞ্জ থানায় আটক রাখা হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান দুই ডাকাত আটক করে একজনকে আদালতে প্রেরণের সত্যতা ও ডাকাতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওযার সত্যতা নিশ্চিত করেন। অন্য ডাকাতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান ওসি।

বন্যানিমজ্জিত সমশেরনগর ইউনিয়নের মরাজানেরপার গ্রাম। ছবি: মুক্তকথা

কমলগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির এখন উন্নতি হচ্ছে। দুসপ্তাহ আগে রোববার ১৪ই জুলাই রাত ৩টায় ধলাই নদীর কমলগঞ্জের রামপাশায় সর্বশেষ ভাঙ্গনটি সংগঠিত হয়েছিল। সর্বশেষ ভাঙ্গনটি নিয়ে ধলাই নদীতে ভাঙ্গন ছিল ৪টি। এসব ভাঙ্গনে অন্তত ১১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। তাৎক্ষনিক বন্যাক্রান্ত হয়েছিল প্রায় ৮শত পরিবার। এ সময়ই ভারি বর্ষণে লাউয়াছড়া বনে পাহাড় ধসে গাছ পড়ে এক ঘন্টা বন্ধ ছিল সিলেটের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ। ঢলের পানিতে নিমজ্জ্বিত থাকায় কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর-কুলাউড়া ও শমশেরনগর-তারাপাশা সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটেছিল এবং দীর্ঘদিন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এসবের ফলে জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছিল। এ সকল সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রী ও চাকুরীজীবিরা দুর্ভোগে পড়েছিলেন বেশী।

বন্যায় আক্রান্ত রামপাশা গ্রাম। ছবি: মুক্তকথা

ওই একই সময় উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টিতে ধলাই নদী ছাড়াও লাঘাটা ও ক্ষিরনী নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটিয়েছিল। হাজার হাজার পানিবন্দি মানুষের অসহায়ত্ব প্রকৃতিকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। চরম দুর্ভোগে পড়ে বন্যার্তরা চরম অসহায়বোধ করেছে দিনের পর দিন। তখনও সরকারীভাবে এসব এলাকায় কোন ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি। এসময় এক সোমবার বিকেলে ধলাই নদীর পানিকে বিপদসীমার ৪১সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গিয়েছিল।
ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের নতুন ও পুরাতন ভাঙ্গন দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে কমলগঞ্জ পৌরসভা, রহিমপুর, আদমপুর, পতনঊষার, মুন্সীবাজার, শমশেরনগর ও কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ ৭টি ইউনিয়নের ১১৫টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। এ ছাড়াও ওই একই সময়ে অতিবৃষ্টির ফলে উজান থেকে আসা পাহাড়ীঢলে কমলগঞ্জের ঘোড়ামারা, কেওয়ালীঘাট, রুপসপুর, রাধাগোবিন্দপুর, মহেশপুর, শ্রীরামপুর, দক্ষিণ ধুপাটিলা, পালিতকোনা, রসুলপুর, বনবিষ্ণুপুর, গোপীনগর, রশিদপুর, নোয়াগাঁও, চন্দ্রপুর, কোনাগাও, বনবিষ্ণুপুর, রায়নগর, রামপুর, রামচন্দ্রপুর, হরিশ্মরন, জালালপুর, জগন্নাথপুর, প্রতাপী, কান্দিগাও, রামপাশা, কুমড়াকাপন, রামপুর, বিষ্ণুপুর. নারায়ণপুর, কান্দিগাঁও, গন্ডামা, হকতিয়ারখোলা, কেওয়ালীঘাট, জালালপুর, বন্দরগাঁও, সতিঝিরগাঁও, মারাজানের পার, রাধানগর, হরিপুরসহ আরো ২৯টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়। এইসাথে ভেঙেছে বহু গ্রামীণ সড়ক। বন্যার সাথে সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য দুর্গতদের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০০প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছিল যা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অল্প। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কমলগঞ্জ পৌরএলাকা ও রহিমপুরে বন্যাক্রান্তদের মাঝে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল বন্যার পরের দিন। এ অবস্থা থেকেই বন্যার ভয়াবহতা অনুমেয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমলগঞ্জে ১২মেট্রিক টন চাল ও ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ইতিমধ্যে বেশকিছু শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে বন্যা কবলিত গ্রামহগুলোতে।

বন্যালগ্নে রাধাগোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: মুক্তকথা

অবশ্য বসে নেই কেউই। বন্যা নিয়ে সকলেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস্য, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মামুনুর রশীদ, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিভিন্ন এলাকা ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন। এদিকে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ কমলগঞ্জ পৌর এলাকা ও রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল নিজ ইউনিয়নের বন্যাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন। এদিকে গত ৩দিন যাবৎ একনাগারে খররৌদ্রতাপ বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজনকে ভয়ার্ত করে তুলেছে। তাদের মতে এমন খরতাপের শেষে সাধারণতঃ মুষলধারে বৃষ্টি হয়। যদি তাই হয় তা’হলে আরো কয়েকটি ঝুকিপুর্ণ স্থানে ভাঙ্গনের আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী মনেকরছেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT