বন্য শুকরের কামড়ে চার সন্তানের জনক চা শ্রমিক চন্দন বাউরী(৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি কমলগঞ্জের ফুলবাড়ি চা বাগানের নতুন লাইনে। একই ঘটনায় লাচ্ছানা মাদ্রাজী(৬০) নামে আরও এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কমলগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগানের ৩ নং সেকশনে এ ঘটনাটি ঘটে।
ফুলবাড়ি চা বাগানেরে পঞ্চায়েত সভাপতি মনোরঞ্জন পাল জানান, চা শ্রমিক চন্দন বাউরী প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালেও বাগানের ৩ নম্বর সেকশনে আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছিলেন। আকস্মিকভাবে বন্যশুকর তাকে ধাওয়া করে এসে কামড়াতে শুরু করে। এসময় বন্য শুকর চন্দনের মাথায় ও হাত পায়ে কামড় দেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে স্থানীয় চা শ্রমিকেরা উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। বেলা ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এসময় বন্য শুকরের হামলায় লাচ্ছানা বাদ্রাজী নামরে আরও এক চা শ্রমকি আহত হয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে চা বাগান ব্যবস্থাপক ও চা শ্রমকি ইউনিয়নের মনু-ধলই উপত্যকার সভাপতি ধনা বাউরী ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাম পাইনকা ফুলবাড়ি চা বাগানে গিয়ে নিহত চন্দন বাউরী ও আহত আচ্ছানা মাদ্রাজীকে দেখেন। তারা বলেন, বন্য শুকরের আক্রমনেই চা শ্রমিক চন্দনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়টির প্রতি প্রশাসন ও বন্যপ্রানী বিভাগের নজর দেওয়া উচিত বলে তারা মনে করেন।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শ্রীমঙ্গলের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, মৃত্যু ও আহতের খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে, আমরা বন বিভাগ থেকে তাদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে।