মৌলভীবাজারের মনু নদীতে বাঁশের সাঁকো পারাবারের সময় পা পিছলে চন্দন রায়(৫৫) নদীতে পড়ে মারা গেছেন। নদীতে পড়ে যাওয়ার ৯ ঘন্টা পর চন্দন রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে মৌলভীবাজার থানা পুলিশ। পরবর্তীতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত চন্দন রায় শহরের সাবিয়া গ্রামে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাছিরনগর উপজেলায়। দীর্ঘ দিন যাবত কাজের সন্ধ্যানে মৌলভীবাজারে থাকতেন। গত শনিবার ৩১ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি দিনের মতো যাতায়াত করার সময় মৌলভীবাজার শহরের প্রাণ কেন্দ্র পৌর খেয়াঘাটে রাতে বাঁশের সাঁকো পারাপারের সময় পা পিছলে পড়ে যান চন্দন রায়। এখান থেকে উঠতে না পারায় নদীতেই মারা যান। মৌলভীবাজার মডেল থানার মাহবুবুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, শহরের মানুষজন মনুনদীর এখানে সেতু নির্মাণের দাবী তুলে আসছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই। বিগত ৫বছর যাবৎ সেতু নির্মাণের এ দাবীকে জোরদারভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সরকারের নীতিনির্ধারকগন বহুদফায় এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছিলেন শীঘ্রই সেতুটি হয়ে যাবে বলে। দূর্ভাগ্য যে সাঁকু থেকে পড়ে গিয়ে সুবিধাবঞ্চিত নিরীহ চন্দন রায়কে জীবন দিতে হলো। |