জন্ম-মৃত্যুর এ বিশ্বজগতে দিনলিপির প্রতিটি দিনই মানবজাতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সমৃদ্ধ এক একটি দিন। ২১ মে বিশ্ব ইতিহাসে খুবই লক্ষ্যনীয় একটি তারিখ। একুশে মে’র এ দিনটি গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১৪১তম দিন। অবশ্য বলা যায় অধিবর্ষে ১৪২তম দিন। ১৫০২সালের এ দিনে জোয়া দ্য নোভা সেন্ট হেলেনা মহাসাগরে একটি দ্বীপ আবিষ্কার করেন। যার নাম হয় সেন্ট হেলেনা দ্বীপ।
এই ২১মে তারিখে ১৯৩৮সালে বেঙ্গল মোশন পিকচার এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই তারিখেই ১৯৭৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সাহায্যচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
২০০৬ সালের এ দিনেই বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবল সিস্টেমের উদ্বোধন হয়েছিল। আরো কতকিছু হয়েছিল এবং হয়ে যাচ্ছে তার খবর আমাদের রাখার সুযোগ হয় খুব কম। ১৯৯৪ সালের এই দিনে ইয়েমেন স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল।
|
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এতো লম্বা ভূমিকা টানা হলো এজন্যই যে চলিত মে মাসের এই ২১ তারিখে, যা ছিল শনিবার, বাংলা নববর্ষ ও ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছিল কেমডেনের বাঙ্গালীরা
লণ্ডনের কেমডেন শহরের একটি শিশু-কিশোর কেন্দ্রে বাংলা নববর্ষ ও ঈদের আনন্দ উপভোগের জন্য জমে ছিলেন স্থানীয় বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের আবাল-বৃদ্ধ বনিতা।
শিশু-কিশোর-কিশোরীদের কলকাকলিতে ভরে উঠেছিল ওই কেন্দ্রের বৈঠকখানা। আলোচনা সভা থেকে শুরু করে শিশু-কিশোর-কিশোরীদের আঁকা-আঁকি, অংকের গণনা, কবিতা আবৃতি, অক্ষর পরিচিতি ও কথোপকথন। কি-না হয়েছে! গানের সুরে সুরে চেয়ার দখল, চোখ বেঁধে হাঁড়ি ভাঙ্গা থেকে শুরু করে গান বাজনা, তহবীল সংগ্রহের জন্য ‘প্রাইজ ড্র’ ও সবশেষে পুরষ্কার বিতরণ এ সবই হয়েছে।
শুধু কি তাই, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের এসকল কর্মকাণ্ডে সঙ্গও দিয়েছেন দেশী ও ভিনদেশী সম্প্রদায়ের গুণীজনেরা। ব্যারিষ্টার মসুদ প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করে সবশেষে পুরষ্কার বিতরণ করেন। পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সঙ্গীতে অংশ নিয়েছিলেন নন্দিতা মুখার্জি আর তার সাথে তবল বাজিয়েছিলেন পিয়াস।
স্বেচ্ছাসেবী হয়ে যারা প্রানপণ চেষ্টা করেছেন অনুষ্ঠানটিকে উৎসবে রূপ দিতে এবং উপস্থিতি সকলের মনে বিনোদন যোগাতে তারা ছিলেন- আব্দুল ওয়াহিদ, কনিকা হক, ফকরুল ইসলাম খসরু, সেলিনা খানম, শামীম আহমদ বকুল, রেবেকা সুলতানা, কাজী সাইফুদ্দনি আহমদ, বিলকিস রশীদ, মৃণাল সেনগুপ্ত, আদম ও হারুনূর রশীদ।