লন্ডন: বলা যায় সূচনা সেই ১৮৫৭সাল। সম্রাট বাবরের প্রতিষ্ঠিত মসজিদের পাশেই একজন হিন্দু পুরোহিত যে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন সে থেকেই বিরোধের বীজ রূপিত হয়। সময়ের মোড়ে মোড়ে সে বীজ বিভিন্ন হাতের পরিচর্যায় বর্তমানে এসে কাজিয়ার মহিরুহ হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে মসজিদ ভাঙ্গা তারপর মামলা। সর্বশেস সর্বোচ্চ আদালতের রায় কিছু মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা চলতে পারে। রেহাই পেলেন না আদভানিও। খবর দিয়েছে আনন্দবাজার।
• ১৫২৮: অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন বাবরের সেনাপতি মির বাকি। হিন্দুদের একাংশের দাবি ছিল, নির্দিষ্ট ওই এলাকাটি রাম জন্মভূমি। সেখানে আগে একটি মন্দির ছিল।
• ১৮৫৭: এক হিন্দু পুরোহিত মসজিদ লাগোয়া চত্বরে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
• ১৮৫৯: ব্রিটিশ সরকার মন্দির, মসজিদের মাঝে দেওয়াল তোলে।
• ১৮৮৫: রাম মন্দির তৈরির অনুমতি চেয়ে ফৈজাবাদ কোর্টের দ্বারস্থ হন মোহন্ত রঘুবর দাস।
• ৩০ অক্টোবর, ১৯৯০: মসজিদ ধ্বংস করতে জড়ো হয় হাজার হাজার করসেবক। গুলি চালায় পুলিশ। অনেকের মৃত্যু।
• ১৯৯১: উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এল বিজেপি।
• ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২: বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, শিবসেনা আর বিজেপি সমর্থকদের হাতে বাবরি মসজিদ ধ্বংস। দেশ জুড়ে হিংসা। নিহত হাজারেরও বেশি।
• ডিসেম্বর, ১৯৯২: দু’টি আলাদা এফআইআর। একটি অজ্ঞাত পরিচয় করসেবকদের বিরুদ্ধে। অপরটি লালকৃষ্ণ আডবাণী, এম এম জোশী-সহ কিছু বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে। লিবারহান কমিশন গঠন।
• ১৯৯৩: আডবাণীদের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট।
• ৪ মে, ২০০১: সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পদ্ধতিগত কারণে আডবাণী, বালসাহেব ঠাকরে, উমা ভারতী, জোশীর বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ।
• ২ নভেম্বর, ২০০৪: ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ সিবিআইয়ের। মামলা বন্ধ নিয়ে কোর্টের নোটিস।
• ২০ মে, ২০১০: সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে।
• ফেব্রুয়ারি, ২০১১: সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই।
• ৩১ মার্চ, ২০১৫: আডবাণীদের সুপ্রিম কোর্টের নোটিস।
• ২১ মার্চ, ২০১৭: অযোধ্যা বিতর্ক সমাধানের পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের।
• ৬ এপ্রিল, ২০১৭: সময়ের মধ্যে বিচার শেষের পক্ষে সওয়াল সুপ্রিম কোর্টের। সিবিআইয়ের আর্জি নিয়ে রায় দান স্থগিত।
• ১৯ এপ্রিল, ২০১৭: আডবাণী, জোশী, উমা ভারতীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা ফের শুরু করা যায়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। -আনন্দবাজার অবলম্বনে