ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহতফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন ‘বেংগলিজ ফর প্যালেস্টাইন’ এই সংগঠনের ব্যানারে ব্রিটিশ বাঙালি বাংলাদেশি সচেতন নাগরিকরা। গত ১৮ মে ২০২৪ সকালে পূর্বলন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে এবং দুপুরে লন্ডনের বিবিসি অফিসের সম্মুখ থেকে ১০ ডাইনিং স্টিট পর্যন্ত ব্রিটিশ বাঙালিসহ বহুজাতিক মানুষেরা জাস্টিজ ফর প্যালেস্টাইন এই শ্লোগানে বেংগলিজ ফর প্যালেস্টাইন এই সংগঠনের ব্যানারে শত শত ব্রিটিশ বাঙালিরা সমবেত হয়ে মুখরিত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এতে অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি নুরুউদ্দিন আহমেদ, টাওয়ার হ্যামলেটস্ সাবেক লিডার রাজনউদ্দিন জালাল, সাবেক কাউন্সিলার আকিক রহমান, রফিক উল্লাহ, সংগঠনের সম্পাদক আনসার আহমেদ উল্লাহ, , শেখ নুর, সাবেক টাওয়ার হ্যামলেটস্ মেয়র সাইফুল আলম, ফারুক খান, সৈয়দ গুলাব আলী, সাংবাদিক এনাম হক, সাবেক কাউন্সিলার রফিক উদ্দিন, সাংবাদিক জুয়েল রাজ, সাংবাদিক শাহেদ রহমান, ফয়জুল আহমেদ সেলিম, খলিল রহমানসহ বহুজাতিক মানুষেরা। এর আগে শুক্রবার বিকেলে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা কুইনমেরী বিশ্ববিদ্যালয় কুইনস ব্লিডিংয়ের গেইটের সামনে দীর্ঘসময় বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। একইভাবে কুইনমেরী, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। ইতোমধ্যে লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে। অক্সফোর্ডের মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টোরি ও কেমব্রিজের কিংস কলেজের সামনে তাঁবু টানিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ‘গাজায় গণহত্যা থামাও’, ‘ইসরায়েলকে সহযোগিতা বন্ধ করো’-এমন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায় শিক্ষার্থীদের হাতে। বিক্ষোভকারীদের কারও কারও মাথায় ছিল ঐতিহ্যবাহী কেফায়া। অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর ফিলিস্তিন ও কেমব্রিজ ফর ফিলিস্তিন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। |
সাংবাদিক শর্মিলা মাইতি’র সাথে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রীতি আড্ডাযুক্তরাজ্যে সফররত কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক শর্মিলা মাইতি’র সাথে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের এক প্রীতি আড্ডা ও মতবিনিময় সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। গত মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ বিকেলে পূর্ব লন্ডনের একটি রেস্টুরেন্টে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট আনসার আহমদ উল্লাহ এর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, ডিবিসি নিউজের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি জুবায়ের আহমদের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট, সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, সংগঠনের সহসভাপতি, জগন্নাথপুর টাইমস এর সম্পাদক অধ্যাপক সাজিদুর রহমান, শিক্ষিকা প্রিয়াংকা গুপ্তা প্রমুখ। শুভেচ্ছা জানিয়ে অতিথি সাংবাদিক শর্মিলা মাইতি’র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির এসিসটেন্ট সেক্রেটারী ড. আজিজুল আম্বিয়া। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ২৬শে টেলিভিশনের সিইও জামাল খান, বিশ্ববাংলা নিউজ২৪ এর সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, হবিগন্জ এক্সপ্রেসের লন্ডন প্রতিনিধি এ রহমান অলি, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য এনএল২৪ এর হেফাজুল করিম রাকিব, সাংবাদিক হাফসা ইসলাম, এটিএন বাংলা ইউকের মুকুল, কবি আসমা মতিন, রেশিয়া খান, শর্মিষ্টা হালদার, আশরাফুল হক, অভিষেক ঘটক, সানাউল্লাহ সহ আরো অনেক। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অতিথি সাংবাদিক শর্মিলা মাইতি -কে ফুল, বই ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রি তুলে দেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। এ প্রীতি আড্ডায় বক্তারা বলেন এপার বাংলা, ওপার বাংলা ও তৃতীয় বাংলার মধ্যে বাংলা ভাষাভাষি শিল্প সংস্কৃতির মৈত্রী সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। আর তরুণ প্রবীন সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা এর সেতুবন্ধন হয়ে আছেন, থাকবেন। উল্লেখ্য যে শর্মিলা মাইতি, প্রথম বাঙালি সাংবাদিক যিনি ইউটিউব ও ফেসবুকে ১ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অতিক্রম করেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা, আনন্দলোক, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, জি ২৪ ঘণ্টা চ্যানেলের বিনোদন সাংবাদিক ও অ্যাঙ্কর । আনন্দবাজার গ্রুপের তরফ থেকে ‘অপরাজিতা’ সম্মাননা ও দুবাই থেকে উমা এক্সেলেন্স পুরস্কার পেয়েছেন । |
ছাতক-দোয়ারা সুরমা যুব পরিষদের উদ্যোগে বাউল পাগল হাসানের শোক সভা
গত ৭ মে পূর্ব লন্ডনের মাইক্রেবিজনেস হলে অনুষ্ঠিত ‘বাউলশিল্পী পাগল হাসান শোকসভায় বক্তারা বলেন, হাসান বেঁচে থাকবেন লক্ষ ভক্ত-হৃদয়ে। দৈহিকভাবে তাঁর অনুপস্থিতি ঘটলেও আমাদের মাঝে তিনি বেঁচে আছেন। তাঁর গান যুগ যুগ তাকে বাঁচিয়ে রাখবে। সৃষ্টির মৃত্যু নেই। গত ১৮ এপ্রিল দোয়ারাবাজার এলাকায় একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় বাউলশিল্পী পাগল হাসান দুই সঙ্গীসহ নিহত হন। ভোর ৬টায় ছাতকের সুরমা সেতুর নিকটে একটি মিনিবাসের সাথে তাদের বহন করা ফোরস্ট্রোকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলেই হাসানের মৃত্যু হয়। পরে বাকী দুজন মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা যায়। হাসান দুই পুত্র সন্তানের জনক। হাসানের বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর। হাসানের পুরো নাম মতিউর রহমান হাসান। তিনি নিজেকে ‘পাগল হাসান’ নামে পরিচয় দিতেন। এই নামেই তিনি সঙ্গীত জগতে পরিচিতি লাভ করেন। ‘আসমানে যাইও না রে বন্ধু ধরতে পারবো না, পাতালে যাইও নারে বন্ধু ছুঁইতে পারবো না’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী ‘পাগল হাসান’। হাসানের বাড়ি ছাতক উপজেলার বিখ্যাত শিমুলতলা গ্রামে। হাসানের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার সংবাদ প্রচার হলে সিলেটসহ বাংলদেশ ও বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। যুক্তরাজ্যস্থ ছাতক-দোয়ার সুরমা যুব পরিষদ তাদের ঈদপুর্নমিলনী অনুষ্ঠান বাতিল করে হাসানের প্রয়াণে শোক সভার আয়োজন করে। পূর্ব লন্ডনের মাইক্রোবিজনেস সেন্টারে আয়োজিত এ শোক সভায় দোয়াসহ মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলানা হাফিজ ওয়াহিদ সিরাজী। শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবু শহিদ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী হিমাংশু গোস্বামী, গৌরী চৌধুরী, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেন, কবি হামিদ মোহাম্মদ, বাউল শিল্পী সুফী আমির মোহাম্মদ, সাবেক কাউন্সিলার ফারুক আহমদ, সাবেক কাউন্সিলার রুহুল আমিন, ছাতক এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি রুহুল আমিন, ছাতক এডুকেশন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক ড. আনসার আহমদ উল্লাহ, কমিউনিটি নেতা আবদুল আলী রউফ, রাজনীতিবিদ আলতাফুর রহমান মোজাহিদ, রাজনীতিবিদ এস এম সুজন মিয়া সাজিদ,সংস্কৃতিকর্মী রাজিব দাস, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, সাংবাদিক আবদুল বাছির। সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি কামরুজ্জামার সাকলাইন, সাবেক সভাপতি, হেলাল মিয়া, হাবিব সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবুল লেইস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ জামাল, কামাল হোসেন, ফজলুল কাদের, সহ কোষাধ্যক্ষ: আবুল বশর, ওল্ডহাম বাংলাদেশ সমিতির সাধারন সম্পাদক সুহেল মিয়া, আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহম্মদ আলী, যুব নেতা চন্দন মিয়া, আবু তাহের আবদুল তোয়াহিদ কয়েস, সানোয়ার আলী, মুহিবুর রহমান, জামাল হোসেন, আবুল বসর, আবু তাহের পাবেল, মিজানুর রহমান, আনোয়ার কামাল দোলন, খালেদ আহমদ, চন্দন মিয়া, ডানিয়েল আহমদ, আতিকুর রহমান, শাহজাহান, মিসবাহু উজ জামান,কামরুজ্জামান সাকলাইন, মঞ্জু চৌধুরী, হেলাল মিয়া, নিজাম উদ্দিন ও এম এ সালমা, দিলবর আলী। প্রমুখ। |
ওয়াটনি মার্কেট আইডিয়া স্টোরে বেঙ্গল ফামিন প্রদর্শনীগত ১১ মে শনিবার, পূর্ব লন্ডনের ওয়াটনি মার্কেট আইডিয়া স্টোরে “হাঙ্গার বার্নস: দ্য বেঙ্গল ফামিন অফ ১৯৪৩” শিরোনামের একটি নতুন প্রদর্শনী খোলা হয়েছে। প্রদর্শনীটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিধ্বংসী বাংলার দুর্ভিক্ষের অন্বেষণ করে যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে অনাহার এবং অপুষ্টির কারণে আনুমানিক ৩০ লক্ষ বাঙালির মৃত্যুবরণ হয়েছিল। ড. দিয়া গুপ্ত এর ইন্ডিয়া ইন সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার বইটির উপর ভিত্তি করে, প্রদর্শনীটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বৈশ্বিক ইতিহাস পুনরুদ্ধার করে, এটি প্রকাশ করে যে ২৫ লক্ষ ভারতীয় পক্ষে যুদ্ধ করেছিল। দিয়া গুপ্ত ছবি, চিঠি, স্মৃতিকথা, উপন্যাস, কবিতা এবং ইংরেজি এবং বাংলায় প্রবন্ধের মাধ্যমে ভারতীয়দের দ্বারা অনুভূত আবেগের একটি ঐতিহাসিক ট্যাপেস্ট্রি বুনেছেন । বার্লিনের শিল্পী সুজাত্রো ঘোষ চিত্রকর্ম এবং সাউন্ডস্কেপের মাধ্যমে দুর্ভিক্ষের প্রভাবকে জীবনে নিয়ে এসেছেন। স্থানীয় কবি ঈশিতা আজাদ ক্ষুধা ও খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিফলন করে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় কবিতা রচনা ও পরিবেশন করেন। “এই প্রদর্শনীটি ইতিহাসের দুর্যোগের সময় মানুষের ক্ষতি এবং অস্থির অভিজ্ঞতার উপর একটি স্পটলাইট উজ্জ্বল করে,” অনুষ্টানে ডা. গুপ্ত বলেন । “শিল্প, লেখা এবং মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে, আমরা সেই লক্ষাধিক লোককে স্মরণ করছি যারা সাম্রাজ্যবাদী নীতিতে দুর্ভিক্ষের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।” শিল্প ইতিহাসবিদ সোনা দত্ত, ডক্টর গুপ্ত এবং অন্যান্য অতিথিদের পাশাপাশি উদ্ভোদনী অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন। প্রদর্শনীটি আইডিয়া স্টোর, স্বাধীনতা ট্রাস্ট এবং ঐতিহ্য কিচেনের সহযোগিতায় লন্ডনের সিটি ইউনিভার্সিটি দ্বারা সমর্থিত । “হাঙ্গার বার্নস” ওয়াটনি মার্কেট আইডিয়া স্টোরে আগস্ট পর্যন্ত প্রদর্শন করা হবে। প্রদর্শনীটি বিনামূল্যে এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। |