1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বিলেতে বাঙ্গালী - মুক্তকথা
শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:০৭ অপরাহ্ন

বিলেতে বাঙ্গালী

মতিয়ার চৌধুরী॥
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৩ পড়া হয়েছে

লন্ডনে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের উপর পিএইচডি সম্পন্ন করলেন
সাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহ
বিবিএইচএফ এর সম্বর্ধনা

মতিয়ার চৌধুরী

লন্ডনে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোল ও প্রতিকুল পরিবেশে ব্রিটেনে বাঙ্গালীদের বসতি স্থাপন “ভ্যাটল অব ব্রিকলেন ১৯৭৮”(১৯৭৮ এর ব্রিকলেনে বর্ণবাদী আন্দোলন) উপর লন্ডনের কুইনমেরী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করায় লেখক ও সাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহকে সম্বর্ধনা দিয়েছে ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিষ্ট্রি ফোরাম নামের একটি সংগঠন।

গেল ৩০জুন রোববার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের বাংলাটাউনের মাইক্রো বিজনেন্স সেন্টারে ব্রিটিশ বালাদেশী হিষ্ট্রি ফোরামের আহবায়ক ও সেই সময়কার যুবক বর্ণবাদী আন্দোলনের নেতা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জালাল উদ্দিন রাজজনের সভাপতিত্বে ও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা মোঃ রফিক উল্লাহ ও আব্দিুল মালিক খোনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সম্বর্ধনা সভা্য় বক্তব্য রাখেন বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট কসিউনিটি ব্যাক্তিত্ব সিরাজুল হক সিরাজ, বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র আকিকুর রহমান। এছাড়াও বর্ণবাদ প্রতিরোধে সেসময় যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, কমিউনিটি নেতা সুন্দর মিয়া, সমাজসেবী জামাল মিয়া, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক মেয়র সয়ফুল আলম, শেখ নূর, নূর সাবেক কাউন্সিলার উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা সিরাজুল হক সিরাজের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় বক্তারা মহৎ কর্ম সম্পাদন করায় আনসার আহমেদ উল্লাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই থিসিস পূর্ব লন্ডনের বাঙ্গালীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্ব পূর্ন দলিল। যদিও এর আগে দেশ বিদেশের খ্যাতিমান লেখক সাংবাদিকরা বর্ণবাদ এবং ব্রিটেনে বাঙ্গালীদের বসতি স্থাপন নিয়ে লিখেছেন। আনসার আহমেদ উল্লাহর অবদান চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে এটি একটি খাঁটি এবং অনন্য দলিল। তার থিসিস পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশিত হবে। তখন ব্রিটিশ সমাজ তথা বিশ্ববাসী জানতে পারবে বাঙ্গালীদের ত্যাগ তিতিক্ষার কথা।

একই ভ্যানুতে এর পূর্বে সদ্য প্রয়াত বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা আব্দুল নূর স্মসণে অনুষ্ঠিত হয় স্মরনসভা। স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন যিনি ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এর দশকে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী ছিলেন। তার অবদান কমিউনিটি চিরদিন স্মরণ করবে। “পূর্ব লন্ডনের বর্ণবাদী ও ফ্যাসিবাদী গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সম্প্রদায়কে রক্ষায় নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করায় প্রয়াতের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তারা বলেন ভবিষ্যত প্রজন্ম প্রয়াত আব্দুন নূরের আত্মত্যাগ এবং বর্ণবাদকে পরাজিত করার সাফল্য দ্বারা অনুপ্রাণিত হবে। এতে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা কর্মি ছাড়াও কমিউনিটির সর্বস্থরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আগতরা আব্দুল নূরের বিদেহী আত্মার শান্তি কায়নায় বিশেষ মোনাজাত করেন।

 


 

জাহানারা ইমামের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে
যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির
অন্তর্জাল স্মরণ অনুষ্ঠান

 

 
 

আনসার আহমেদ উল্লাহ

 
শহীদ জননী জাহানার ইমামের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যুক্তরাজ্য শাখার উদ্যোগে “শহীদ জননী: একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার ও ব্রিটিশ আদালতের সাম্প্রতিক রায়”-শীর্ষক এক ভার্চুয়েল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

২৬জুন অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল স্মরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশা। সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম স্টেট্রেজি ফোরামের ফাউন্ডার রায়হান রশীদ।

বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার দুই উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মাহমুদ এ রউফ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সহ সভাপতি নিলুফা ইয়াসমিন, সহ সভাপতি হরমুজ আলী, সহ সভাপতি মতিয়ার চৌধুরী, সহ সভাপতি মকিস মনসুর, কবি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক টি এম কায়সার, আমরা একাত্তরের যুক্তরাজ্যের সংগঠক সত্যব্রত দাশ স্বপন, উদ্যোক্তা সংগঠনের যুক্তরাজ্য শাখার সহ সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জুয়েল রাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত দাশ প্রশান্ত, কার্যকরী সদস্য, বার্কিং এন্ড ডেগেনহামের মেয়র কাউন্সিলার মঈন কাদরী ও এক্টিভিষ্ট এম এম জি রব্বানী প্রমূখ।

বক্তারা শহীদ জননীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক আখ্যায়িত করে বলেন, বাঙালির সর্রবকালের সর্বশ্রেষ্ট অর্জন মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশটিকে যখন পরাজিত শত্রুরা খামচে ধরতে উদ্ধত হয়েছিলো, ঠিক তখন এদের মোকামেলায় জাতির ত্রাতা হিসেবে বজ্র কঠিন হুঙ্কার দিয়ে রাজপথে নেমেছিলেন শহীদ জননী।

তারা বলেন, পাকিস্তানী শাষকদের শোষন নিপীড়ন থেকে বাঙালি জাতীকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু আবির্ভূত হয়েছিলেন ত্রাতা হিসেবে। আর পাকিস্তানীদের রেখে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ঘাতক দালালদের কড়াল থাবা থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছেন শহীদ জননী।

বক্তারা বাংলাদেশের আদালতে দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ আদালতের সাম্প্রতিক রায় নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, শহীদ জননী গণআদালত গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচারের যে সূচনা করেছিলেন, সেই বিচারই আন্তর্জাতিক সব আইন কানুন মেনে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ আদালত সম্পন্ন করছে। একটি স্বাধীন দেশের আদালতের বিচারকার্যক্রম সম্পর্কে অন্য কোন দেশ বা আদালত কি মন্তব্য করলো সেটি দেখার সময় নেই বাঙালি জাতির। একাত্তরে ভিকটিম হয়েছে যে দেশের মানুষ, সেই দেশ তাঁর নিজস্ব আইনে, নিজ আদালতে এই ভিকটিমদের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তী নিশ্চিত করেছে, সভ্যতার দাবিদার বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর এবিষয়টি অনুধাবন করা উচিত। তারা বলেন, ভিকটিমদের চেয়ে অপরাধীদের মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা আর যাই হোক সভ্যতার ঠিকাদার হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারেননা।


 

লন্ডনে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ অগ্রযাত্রায় আমাদের করনীয় সেমিনার অনুষ্টিত

 

 

প্রতিযোগীতা মূলক বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া কোন দেশ বা জাতির ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব নয়। এমন্তব্য বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ ও বাংলাদেশ সরকারের আই সি টি ডিভিশনের স্ট্রাটেজিক কমুনিকেশনের উপদেষ্টা আশফাক জামানের। গত ২১ জুন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে “বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম” ইউকে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা” ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ অগ্রযত্রায় আমাদের করনীয় শীর্ষক সেমিনারে কীনোট স্পীকারের বক্তব্যে একথা বলেন।

তিনি বলেন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তারই সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরে কাজ করছেন। বাংলাদেশ এখন তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে। এর সুফল যাতে সকলে ভোগ করতে পারে এজন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।

সেমিনারের হোষ্ট বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলালের সঞ্চালনায় ও লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জনমত সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়েষ্ট লন্ডন চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাহী পরিচালক অ্যালান রাইডস ও ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রিয়জিত দেবসরকার।

এছাড়াও প্রশ্নউত্তর পর্বে অংশ নেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ, স্বদেশ-বিদেশ সম্পাদক বাতিরুল হক সরদার, সাংবাদিক আজিজুল আম্বিয়া, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মিডিয়া অফিসার মাহবুবুর রহমান ও সাংবাদিক রহমত আলী।

সেমিনারে আরো যারা অংশ নেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাংবাদিক মোসলেহ উদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক মোস্তাক বাবুল, সাংবাদিক হেফাজুল করিম রাকিব, সাংবাদিক বদরুদ্দোজা বাবুল, সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান মুকুল, টিভি প্রেজেন্টার হাফসা ইসলাম, কবি এ্যাডভোকেট মুজিবুল হক মনি, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার আহবাব হোসেন, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন ইউকের সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাছির, সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী বাবু, শামীম আহমদ, আরিয়ান খান প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে আলোচক বৃন্দ ও প্রবীন সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরীর হাতে সস্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন সেমিনারের সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT