ইনাম আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে
‘গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে’ এর
শোক প্রকাশ
“সাবেক সচিব, বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের বিকল্প গভর্নর, বেসরকারী মালিকানা কর্তৃপক্ষের(প্রাইভেটাইজেশন কমিশন) সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে ‘গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শোক প্রকাশ করেছে।
“সিভিল সার্ভিসের কীর্তিমান সদস্য সাবেক সচিব, বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের বিকল্প গভর্নর, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান ইনাম আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুতে শেখ নুরুল ইসলাম প্রেরিত এক শোকবার্তায়, ‘গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক- মোহাম্মদ মকিস মনসুর, সহযোগী আহ্বায়ক- মসুদ আহমদ, সদস্য সচিব- ডঃ মুজিবুর রহমান ও অর্থ সচিব- এম আসরাফ মিয়া, সংগঠনের ১২টি আঞ্চলিক ও বিভিন্ন শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোকাবহ পরিবারবর্গ এর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ, প্রয়াত ইনাম আহমদকে বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী দেশপ্রেমিক নাগরিক আখ্যায়িত করে তার তিরোধানে মুক্ত চিন্তার জগতে এক গভীর শুণ্যতা তৈরি হলো যা সহসা পূরণ হবে না বলে উল্লেখ করে প্রয়াতের আত্মার জন্য ক্ষমা প্রার্থনাসহ মহাণ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গির। দস্তগীর জাহাঙ্গির বিশ্বব্যাপী এই ক্যাম্পেইন জোরদার করতে বিশ্বের প্রতিটি দেশে সাংবাদিক ও মানবতাবাদীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বলে গবেষক সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী প্রেরীত এক সংবাদে জানা গেছে।
সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গিরের বরাত দিয়ে জনাব চৌধুরী লিখেছেন, একজন সাংবাদিক হিসেবে দস্তগীর জাহাঙ্গির; স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং মতপ্রকাশের অধিকারের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে খুবইসচেতন, যার উপর সাংবাদিকদের পেশা ও গুরুত্ব বহন করে। উদ্বেগজনকভাবে বাংলাদেশের ঘটনা যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে বর্তমানে অসংখ্য সাংবাদিক কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
দস্তগীর জাহাঙ্গিরের বরাত দিয়ে জনাব চৌধুরী লিখেছেন- রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস-এর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম- ইন-ডেক্স রিপোর্ট অনুযায়ী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ইস্যুতে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। এটি একটি মর্মান্তিক পরিসংখ্যান যা এই কঠোর বাস্তবতা প্রকাশ করে।
এযাবত সমগ্র দেশে ৬ শতাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, ৫০টিরও বেশী মিডিয়া ও প্রেস অফিসে হামলা, ৬ জন সাংবাদিক খুন, ১৮জন সাংবাদিক গ্রেফতার, শতাধিক সাংবাদিক আহত, হাজারেরও উপরে সাংবাদিক চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ১৬৮জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করা হয়েছে, ১৮ সাংবাদিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, ৮৩ জন সাংবাদিকের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে, বেশির ভাগ মিডিয়াহাউস জোর করে দখল করে নিয়েছ। সাংবাদিকরা নজিরবিহীন ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। স্বাধীন সাংবাদিকতাকে এভাবে নির্মূল করা হলে দেশ ও জনগণ উভয়ের জন্যই অন্ধকার ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।