মুক্তকথা: সোমবার, ৮ই আগষ্ট ২০১৬।।
গেল ৫ই আগষ্ট শুরু হয়েছে বিশ্ব অলিম্পিক ২০১৬। ওই দিন শুক্রবার ব্রাজিল সময় সন্ধ্যা ৮টায় রিও ডি জেনেরিও শহরের মারাকানা ষ্টেডিয়ামে শুরু হয় বিশ্ব নন্দিত এই ক্রীড়া প্রতিযোগীতা। ১৯০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত এই প্রথম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের নিয়মানুপর্বিক একটি উদ্ভোধনী অধিবেশন খেলাধুলার ষ্টেডিয়াম ছাড়া একটি ভিন্ন ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। বিশ্ব অলিম্পিক সনদানুযায়ী খেলার উদ্ভোধনী অধিবেশনে আয়োজক দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে ব্রাজিল বর্ণাঢ্য আয়োজন করে। প্রায় ৭৮ হাজার দর্শক মারাকানা ষ্টেডিয়ামে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করে।
বিশ্ব নন্দিত এই অলিম্পিক অনুষ্ঠানের এবারের অনুশীলন শুরু হয় গত মে মাসের শেষদিক থেকে। ব্রাজিলের ৩জন নন্দিত পরিচালক, ফারনান্দো মেইরেলেস, ডানিয়েলা থমাস ও অন্দ্রুকা ওয়াডিংটন এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ব্রাজিলের খ্যাতিমান কোরিওগ্রাফার ডেবরা কোকার আড়াই মাস ব্যাপী অনুশীলনের মধ্য দিয়ে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নৃত্যকারুকারকে তৈরী করে তোলেন এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সফল অংশ গ্রহনের জন্য।
মেইরেলেস বলেছেন এবারের অলিম্পিক উদ্ভোধনীর খরচ খুবই সুবিবেচিত আর খুবই পরিমিত। কোন বিবেচনায়ই অর্থের যাতে অপচয় না হয় সেদিকে গভীরভাবে নজর রাখা হয়েছে। গেল বারের লন্ডন অলিম্পিকের শতকরা ১০ভাগ খরচে এবারের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
এবারের অলম্পিকে মোট ২০৫টি দেশের সর্বমোট ১১, ১৭৮জন ক্রীড়াবিদ অংশ নেয়। এই প্রথম বারের মত দক্ষিণ সুদান ও কসোবো অংশ গ্রহন করে। কোন দেশের নয় এমন ২টি দল অংশ গ্রহন করেছিল। ১০জন “রিফিউজি” ও একজন দেশহীন ক্রীড়াবিদ অংশ গ্রহন করেন। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এই প্রথমবারের মত “রিফিউজি” ক্রীড়াবিদদের অংশ গ্রহনের সুযোগদান করে। মোট ৩৭টি জায়গায় এবারের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই অলিম্পিকে বাংলাদেশ থেকে ৭জন, পাকিস্তান থেকে ৭জন, ভারত থেকে ১২৪জন, মালদ্বীপ থেকে ৪জন, নেপাল থেকে ৭জন, শ্রীলঙ্কা থেকে ৯জন, ভূটান থেকে ২জন, মায়ানমার(বর্মা) থেকে ৭জন, মঙ্গোলিয়া থেকে ৪২জন, আফগানিস্তান থেকে ৩জন, ইরান থেকে ৬৩জন, ফিলিপিন্স থেকে ১২জন, চীন থেকে ৪০০জন, চীন (তাইপেই) থেকে ৫৯জন এবং থাইল্যান্ড থেকে ৫৫জন অংশ নেয়।
বাংলাদেশের গল্ফ খেলোয়াড় সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন। শ্রীলঙ্কা থেকে অনুরাধা কোরে, ভারতের অভিনাব বিন্দ্র, মালদ্বীপের অমিনাথ সাজন, নেপালের ফুপু লামু কাত্রি, আফগানিস্তানের কামিয়া ইউসুফি, মঙ্গোলিয়ার তেমুলেন বাত্তুলগা, কোরিয়ার গু বন-গিল, ইরানের জাহরা নেমাতি, থাইল্যান্ডের বেডমিন্টন খেলুড়ি রাচানক ইন্তানন, ভিয়েৎনামের ভু থানহ এন নিজ নিজ দেশের পতাকা বহন করেন। পাকিস্তান, ভুটান ও মায়ানমারের কোন পতাকা বহনকারী ছিল না।