মুক্তকথা প্রতিবেদন।। ধরুণ, কেউ যখন যেখানে ইচ্ছা যেতে চায় কিংবা ইচ্ছেমত পেটভরে বিশ্বের সবচেয়ে অভিজাত খাদ্য খেতে চায়, সাথে সাথে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী গাড়ী চড়তে চায়, এককথায় মন যখন যা চায় তাই সে করতে পারবে; বলতে পারেন কি দিয়ে? সে শুধু সম্ভব যদি কারো কাড়ি কাড়ি টাকা থাকে। এর বিকল্প কিছু আছে বলে আমি জানি না। টাকা! সারা বিশ্বকে আমরা এই টাকার দাস বানিয়ে তৈরী করে নিয়েছি। যার অফুরান টাকা আছে সে সবকিছুই করতে পারে। অন্ততঃ আমাদের মত বাংলাদেশে তো অবশ্যই। থাক বাংলাদেশের কথা। |
ধনীরা শুধুই যে একাগ্রচিত্তে সারা জীবন বসে বসে কঠোর পরিশ্রম করেছেন আর কাড়ি কাড়ি টাকা বানিয়েছেন, বিষয়টি আসলে তেমন নয়। মি: বিল গেটস-এর কথায় যদি আসা যায়। তিনি যে সারা দিনমানভর শুধু কাজ আর কাজ করতেন এবং একদিন কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছেন বিষয়টি অবশ্যই এমন নয়। তবে, অবশ্য এবং অবশ্যই তিনি তার কাজের প্রতি নিবেদিত প্রান ছিলেন নিষ্ঠার সাথে এবং এখনও আছেন এটাই ভেতরের গোপন কথা। নিষ্ঠা নিয়ে এই নিবেদিত থেকেই তিনি দুনিয়ার সবচেয়ে ধনীদের একজন হতে পেরেছেন। আর একটি বিষয় যা উল্লেখ না করলে পুরো বর্ণনাই মিথ্যে হয়ে থাকবে সে হলো কোন নারীর মনের গভীর থেকে প্রেম-ভালবাসা দিয়ে কাজে সহায়তা। |
এ বিশ্বে, বিল গেটস-এর মত আরো অনেক ধনী, বিশাল টাকার মালিকও আছেন। এসব ধনী লোকদের জীবনাচারণ কেমন, আমাদের মত সাধারণ মানুষের জীবন না-কি ভিন্ন তা আমরা কেউই দেখার সুযোগ পাইনি, এ কথা যেমন ঠিক পাশা পাশি এটাও ঠিক যে বিনা প্রেরণায়, মেশিনের মত দিনমান বসে বসে শুধু কাজ আর কাজ করেই কাড়ি কাড়ি অর্থ উপার্জন করেছেন তেমনটিও ঠিক নয়। তাদের জীবনে কেউ না কেউ তাদের নিজেদের শ্রমের পাশাপাশি অপরিসীম প্রেরণা যুগিয়েছে করেছে বাস্তব সহায়তা। সবচেয়ে বড় কথা, যুগিয়েছে নিঃসংকোচ ও নিঃস্বার্থ ভালবাসা। |
‘নির্মম উৎপীড়ন’ বিরুধী প্রচারাভিযানের প্রবল আবেগী কর্মী, উপন্যাসিক ও লোকহিতৈষী ব্যক্তিত্ব মেকেঞ্জি বেজস বিবাহ করলেন, বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন আমাজন-এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজসকে ১৯৯৩সালে। একসময় তাঁরা ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী স্বামী-স্ত্রীদের দম্পতি যুগল। তাদের সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১১৪ সহস্র কোটী টাকার মত। যদিও এই যুগল ২০১৯সালের এপ্রিলে এসে পৃথক হয়ে যান। এতে স্ত্রী মেকেঞ্জি ৩৫ বিলিয়ন ডলার পেয়ে হয়েছিলেন বিশ্বের তৃতীয় ধনী মহিলা। |
ধরা যাক, মিঃ বিলগেটসের কথা। যে বিলগেটসের নাম আমাদের গল্প-গুজব বৈঠকের কোন না কোন ফাঁকে আসবেই। যাকে নিয়ে আমেরিকার কত সুন্দরী এখনও হৃদয়ে স্বপ্নের পর্দায় বিলগেটসের চেহারার নকশা বুনেন অহর্নিশী। তার স্ত্রী মেলিন্দা গেটস একসময় ছিলেন ‘মাইক্রোসপ্ট’এর একজন সাধারণ ব্যবস্থাপক। তিনি তার স্বামী বিল গেটসকে নিয়ে গড়ে তোলেন ‘বিল ও মেলিন্দা গেটস ফাউণ্ডেশন’। তাদের ফাউণ্ডেশনের উদ্দেশ্য ছিল দারীদ্রমোচন ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্যরক্ষাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। স্বামী বিল গেটস হলেন ‘মাইক্রোসপ্ট’ এর প্রতিষ্ঠাতা, যার সম্পদের মূল পরিমান হলো প্রায় ১০৩.৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ধনী। এমনি এমনিতেই হতে পারতেন না। যদি না মেলিন্দা তার জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে তাকে সত্যিকারের প্রেম-ভালবাসা না দিতেন। মেলিন্দা নিঃসংকোচে অন্তরের গভীর থেকে তার ভালবাসার সবকিছু দিয়ে গড়ে তোলেছিলেন যে মানুষকে সেই বিলই বিশ্বের কাছে মিঃ বিলগেটস হতে পেরেছেন। |
কেনাডিয়ান পিয়ানো বাদক হেলেন মার্সিয়ার ‘অর্ডার অব আর্টস এণ্ড লেটারস’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। এটি একটি ফরাসি পদক, ফরাসি শিল্পের প্রসারে যারা কাজ করেন তাদের দেয়া হয়ে থাকে। সেই হেলেন, ১৯৯১সালে বিয়ে করলেন ফরাসি ব্যবসা কুবের বারনার্ড আরনল্ডকে। এ দম্পতির সম্পদের পরিমাণ হলো প্রায় ৯৬বিলিয়ন ডলার। |