মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে নতুন আরেক স্বাধীন রাষ্ট্রের। বুগেইনভিলে বলেই পরিচিত হবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। শনিবার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেখানে। অধিকতর স্বায়ত্তশাসন না স্বাধীনতা, এ দিনের ভোটে সেই সিদ্ধান্তই নেবে দ্বীপপুঞ্জটির ২,৩৪,২৮০জন বাসিন্দা। ৭ই ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় দফার ভোট এর পরই জানা যাবে ফলাফল। পক্ষে ভোট পড়লে এটি হবে বিশ্বের ১৯৬তম স্বাধীন দেশ।
তিন-চতুর্থাংশ ভোটই স্বাধীনতার পক্ষে পড়বে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। ভোট স্বাধীনতার পক্ষে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে সেটি কার্যকর হবে না। এটি আদতে চিহ্নিত হতে পারে বুগেনভিলে’র স্বাধীনতার পথে প্রথম ধাপ হিসেবে।
তামা ও সোনার মতো প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ দ্বীপপুঞ্জটির ভোটের দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন তাকিয়ে আছে বলে বিবিসি-র ভাষ্যে জানা গেছে।
সোলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও কিরিবাতির পাশাপাশি সম্প্রতি প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বুগেনভিলের সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগী হয়েছে বেইজিং। দ্বীপপুঞ্জটির স্বাধীনতার প্রশ্নে এ গণভোট আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও অর্থায়ন করেছে বলে জানা গেছে।
১৭৬৮সালে ফরাসি অনুসন্ধানকারী লুইস দ্য বগেলভিলে প্রথম এই দ্বীপে পদার্পণ করেন। সেই থেকে তিনি তার নিজের নামেই এই দ্বীপের নাম দেন “বুগেনভিলে”। প্রথমে জার্মান উপনিবেশ, পরে অস্ট্রেলিয়ার দখলে যায়। জার্মানরা তাদের শাসন শুরুর ২১ বছর পর ১৯০৫ সালে প্রথম বুগেনভিলে প্রশাসনিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। সূত্র: বিবিসি