হেফাজতে ইসলামের যুগ্নমহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মাঝে চলছে পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনা। পক্ষের লোকেরা বলছেন তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এবং সে স্ত্রী’কে নিয়ে একটি স্বাস্থ্যনিবাসে গিয়েছেন। এখানে দুষের কি? তা তিনি করতেই পারেন। বরং কিছু লোক তাকে সেখানে হেনস্তা করেছে। সেটি অন্যায়। যারা বলছেন তারা কারা? কি তাদের পরিচয়? আবার অপর পক্ষে যারা মামুনুল হকের এ কাজকে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না বলছেন তাদের উভয়ের এসমূহ বিষয় জানার অধিকার সাধারণ মানুষের রয়েছে। আমরা তাই খুঁজতে গিয়ে বিভিন্নমুখী অনেক তথ্য পেয়েছি। এমনও পেয়েছি যে ওই মহিলার বড় ছেলের ভিডিও কথন। এসকল তথ্যের মাঝে পক্ষে বিপক্ষে ভোঁতা-ধারালো যুক্তিসহ অনেক কথাই অনেকে লিখেছেন, যার সবক’টি তোলে দেয়া এখানে সম্ভব নয়। তবে আমরা যেগুলো পড়ার সুযোগ পেয়েছি সেগুলোর মধ্য থেকে একজন সজল রোশান এর একটি লেখা পেয়েছি। যে লেখাটিকে আমরা মনে করেছি একটু স্বচ্ছ যুক্তিসংগত লেখা। ওই লেখাটি আমাদেরই একজন সুহৃদ জনাব দেলওয়ার হোসেন আমাদের বরাবরে পাঠিয়েছেন। সুধি পাঠকদের তথ্য পিপাসা নিবৃত করার জন্য সজল রোশানের সে লেখাটি হুবহু এখানে তুলে দিলাম। -সম্পাদক |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
-Sajal Roshan |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শুধু বিয়ে নয়, একসময় যাবতীয় চুক্তিরই শর্ত ছিলো মৌখিক সাক্ষী| কিন্তু বিয়ে নিয়ে জালিয়াতি আর মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া যখন মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়ে তখন সারাবিশ্বেই নিকাহ রেজিস্ট্রি করার সিস্টেম ডেভেলপ করা হয়| বিয়ের সাথে শুধু ব্যাভিচার নয়; উত্তরাধিকার, ইমিগ্রেশনেরও সম্পর্ক| বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা না থাকলে আপনার মৃত্যুর পর যে কেউ দুইজন সাক্ষী নিয়ে হাজির হবে সম্পত্তির ভাগ নিতে| মরেও শান্তি পাইবেন না| আমেরিকায় যত ডিভোর্স হয়, এর অর্ধেকের বেশি বিয়ে হয় ভিসা বা গ্রিনকার্ডের জন্য “কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ”| বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা না থাকলে আমেরিকা কানাডায় অনেকে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজের শপিং মল খুলে বসতো| বহির্বিশ্বে নাগরিকদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে সরকার বিয়ে রেজিস্ট্রেশন বা কাবিননামা নিঃসন্দেহ করে| ভুয়া পাসপোর্ট বানানোর চেয়ে ভুয়া কাবিননামা বানানো কঠিন| |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইসলাম প্রতিষ্ঠা মানে “ইনসাফ প্রতিষ্ঠা”| অনৈসলামিক সেকুলার সরকারের বিপরীতে মানুষ হেফাজতকে সমর্থন দিবে কোন বিবেচনায়? সরকারকে ফেরাউন বলছেন কিন্তু আপনি মুসা নবী হলেন কেমনে ? খলিফা ওমর (রাঃ) নিজের পুত্রকে দোররা মেরেছেন এ গল্প শোনানো ওয়াজিনরাও এখন বলছেন একজন আল্লামাকে অসম্মান করলো কেন ? ওনার বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটালো কেন ? বিচার চাই| অনেকে কাবিননামা ওয়ালা টি শার্টের ছবি দিচ্ছেন যে মানুষ কি কাবিন নামা নিয়ে ঘুরবে নাকি ? আমরা কেউই কাবিননামা নিয়ে ঘুরি না কিন্তু আমাদের কাবিন নামা একটা আছে, খুঁজলে পাওয়া যাবে| ওনার নাই| এ সত্য বুঝেও- কালা বোরখা নীল হইলো কেন ? অমুকের কেলেঙ্কারি নিয়ে বলেন না কেন ? হুজুরের গায়ে হাত দিলো কেন ? ফোন রেকর্ড করলো কেন ? (দুষ্টু সরকার গুলো সবার ফোনই রেকর্ড করে, কিন্তু দুষ্টু টিভি চ্যানেলগুলো সবারটা প্রচার করে না) হ্যাঁ এগুলা অন্যায়, গুরুতর অন্যায় কিন্তু এতে আপনার অন্যায় ন্যায় হয়ে যাবে না| একটা অন্যায় করে গলা উঁচু করে কথা বললেই তা বাঘের মত লড়াই করা নয়| |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইসলামের খলিফারা চাইলেও কোন অন্যায় করতে পারতো না কারণ সাহাবীরা পদে পদে কোরআন সুন্নাহর রেফারেন্স দিতো| যখনই জাল হাদিস বানানো মোসাহেব জুটলো তখন থেকেই অধঃপতন শুরু| |