লন্ডন: রাজ-রাজরারা খুব দয়ালু আর মহানুভবতা নিয়ে চলবে বিশেষ করে সাধারণ মানুষের সাথে। মানুষ এমনই ভাবে। কিন্তু এরূপ সব সময় হয় না, হবার নয়ও। কারণ তারাও আমাদের মত মানুষ। আর যেহেতু তারা রাজন্য সুতরাং কোন রূপ কুৎসা বা কলঙ্কময় কিছু ঘটলে মানুষতো তাদের উপর নজর দেবেই।
প্রিন্স হ্যারি তখন ইটনে পড়েন। এই ইটন কলেজ ইংল্যান্ডের উইন্ডসরের ইটন এলাকায় অবস্থিত। এই হ্যারি যখন ইটনের স্কুলে পড়তেন, শুনা যায় স্কুলে তিনি একদা একটি দেয়াল পত্রিকার নমুনায় ‘বিজয়ীর দেয়াল’ “Wall of Conqurer” বলে একটি কাগজ টাঙ্গিয়ে রাখেন যেখানে বহু কিশোরীর ছবি ছিল যাদের সাথে তিনি বন্ধু হিসেবে চলাফেরা করতেন।
এ সময় চারিদিকে গুঞ্জন শুরু হয় যে, আসলেই হ্যারি, রাজকুমার চার্লস এর পুত্র কি-না! অনেকেই বলতে থাকেন হ্যারি প্রয়াত ডায়নাজীর প্রেমিক একজন জেমস হেউইট এর পুত্র, কারণ তার চেহারার সাদৃশ কেমন ভুতুড়ে দুষ্টপ্রকৃতবিশিষ্ট।
রাজ পরিবারের হোক বা নাহোক কিশোর বয়সে সবই এরকম হয়। কিশোর-কিশোরীতো কিশোর-কিশোরীই। প্রিন্স হ্যারি, যতদূর শুনা যায় সহপাঠীদের কাছে “হেশ হ্যারি” বলেই পরিচিত ছিল। এ পরিচয় হয়ে উঠে তার বিনোদনের জন্য ধুমপানের নেশার কারণে।