বৃটেনে জীবনযাপন ব্যয়ের উর্ধগতিদ্রব্যমূল্য কমানোর দাবীতে হাজারো মানুষের মিছিলবিশেষ প্রতিনিধি
আজ শনিবার ১৮ জুন লণ্ডনের রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। পোষ্টার হাতে তাদের দাবী একটাই “cut war not welfare”. এর অর্থ দাঁড়ায় ‘যুদ্ধ কমিয়ে আনো মানুষের কল্যাণ ব্যবস্থা কমিও না’, ‘পেট্রল দারীদ্রের সমাপ্তি চাই, মানুষের বাড়ীঘর টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।’ হাজার লাখো মানুষের দাবীতে আরো ছিল-‘গ্যাস-বিদ্যুতের বিল কমিয়ে আনো’, ‘বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করো’, ‘জাতিভেদ-বৈষম্য-বর্ণবাদ-এর সমাপ্তি চাই’ ইত্যাদি। হাজার হাজার মিছিলকারী লণ্ডনের ‘পার্লামেন্ট স্কোয়ার’-এ সমবেত হয়ে সরকারের প্রতি এ দাবী তুলে ধরে। মিছিলকারীদের কথায়, এবারের মূল্যবৃদ্ধি ফলে জীবন নির্বাহের ব্যয় বেড়ে যাওয়া বিগত ৪০ বছরেও এমন ঘটেনি। সারা দেশ থেকেই শত শত গাড়ীযোগে মিছিলকারীগন লণ্ডন শহরে এসে জমা হন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী যিনি মিছিলের উভয় মাথা দেখেছেন, আমাদের জানান যে মিছিলটি প্রায় ১মাইল লম্বা হয়েছিল। পার্লামেন্ট স্কোয়ারের আজকের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডাক্তার সালিহা আহসান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, যে, মহামারি কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ের আজো কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। ডা: সালিহা আহসান জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার একজন ডাক্তার এবং “কোভিড-১৯এর শোক কাতর পরিবারের ন্যায্য পাওনা আদায় দল” এর প্রতিনিধি। টিভি এবং রেডিও তে ইতিহাস নিয়ে কথা বলার মানুষ ড. লুইজ রো মনে করেন এবারের এই প্রতিবাদ সমাবেশে কমপক্ষে ৪০,০০০ মানুষ যোগ দিয়েছে। ইউনাইট এর সাধারণ সম্পাদক শেরন গ্রাহাম মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন যে, আজকের এ সমাবেশ, সরকারকে শুধু বলার জন্য যে আমরা ভাল থাকতে চাই-ভাল একটা কিছু চাই। সরকার আমাদেরকে বুঝতে চান না কারণ তারা আমাদের মত নন। মিছিলে প্রতিবাদী মানুষের যে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি উচ্চারিত হয় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল-“the system’s broken, time to fight, workers of the world unite”. অর্থাৎ চলামান ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। যুদ্ধের এখনই সময়। দুনিয়ার কর্মজীবী মানুষ এক হও। ‘রেল, মেরিটাইম ও ট্রেন্সপোর্ট'(RMT) এর সাধারণ সম্পাদক মিক লিঞ্চ সমাবেশে উপস্থিত মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন-“আমরা বর্তমানে শ্রেণী সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।” তিনি তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, একজন মানুষের অবস্থার উপর যদি আক্রমণ চলে, একজনের বেতন-ভাতার উপর যদি আক্রমণ চলে এবং কারো চাকরী যদি কেড়ে নেয়া হয় তা’হলে বলতেই হয় আমরা একটি শ্রেণী সংগ্রামের মধ্যে আছি। সংবাদ সূত্র: সংবাদ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত |