পাকিস্তান এখনও বেলুচিস্তানে হত্যা থেকে শুরু করে সকল অমানবিক হত্যা-নির্যাতন ইতর প্রানীর মত চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ন্যায় গণহত্যার মত আন্তর্জাতিক অপরাধকর্ম করেই যাচ্ছে অবাধে। এমনই দাবী করেছে “বালুচ নেশনেল মুভমেন্ট” নামের বেলুচিদের একটি জাতীয় সংগঠন। সংগঠনটি ‘বেলুচ নেশনেল মুভমেন্ট’ নামের তাদের তরঙ্গপত্রে(ওয়েবসাইট) এমন দাবী তুলে ধরেছে। অবশ্য তাদের এমন দাবী আজ নতুন নয়। একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র বালুচদের সে বহু পুরানো একটি দাবী। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় তথ্য সচিব দিল মুরাদ বালুচ গত মার্চ মাসের(২০২১ইং) একটি পরিসংখ্যান দিয়ে লিখেছেন যে কেবল এ মাসেই পাকিস্তান সামরিক বাহিনী গোটা বেলুচিস্তানের উপর মোট ৭৭টি হত্যা-নির্যাতন ও সন্ত্রাসী সামরিক অভিযান পরিচালনা করে এবং মহিলাসহ ৭৫জনকে আটক করে গুম করে দিয়েছে। এ সময় ৭জন মানুষকে হত্যা করা হয়, কয়েক ডজন বাড়ী-ঘর পুরিয়ে দেয়া হয় এবং ৫০টি গোবাদিপশু লুট করে নিয়ে যায়। এ হিসেব তুলে ধরে মুরাদ বালুচ বলেন যে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বেলুচিস্তানে বিশ্ব মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। তাদের এই সর্বব্যাপ্ত বালুচ হত্যাযজ্ঞ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ‘বালুচ নেশনেল লিবারেশন মুভমেন্ট’এর সাথে জড়িত সকলকেই নির্বিচারে শাস্তিভোগ করতে হচ্ছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনকে পর্যন্ত অমানবিক অত্যাচার করা হচ্ছে। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বেলুচিস্তান |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অন্তর্জাল ঘেঁটে যতদূর জানা যায়, ১৮৩৮ইং সালের ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে বৃটিশরা এ অঞ্চলটি দখলে নিয়েছিল। মূলতঃ সে সময় থেকেই বেলুচিদের জাতি রাষ্ট্রের আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানর পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলির সাথে বেলুচিস্তানকে যোগ করে যখন পশ্চিম পাকিস্তান প্রদেশ গঠন করা হয় তখন থেকেই স্বাধীন জাতিরাষ্ট্রের দাবী প্রকট হয়ে উঠে। এ সময়ই কালাত রাজ্যের শাসক(যাদের স্থানীয় ভাষায় খাঁ বলা হয়) বা খাঁ বা খান এ সংযোজনকে প্রত্যাখান করে কালাত অঞ্চলকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন। অবশ্য সাথে সাথেই পাকিস্তান তার সাথে একটি আপোষ নিস্পত্তিতে এসেছিল। অনেকে লিখেছেন পাকিস্তান বিদ্রোহ দমন করেছিল বলে। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পাকিস্তানের প্রাকৃতিক গেস-এর সর্বোচ্চ দ্বিতীয় যোগান আসে এই বেলুচিস্তান প্রদেশ থেকে। অতি সম্প্রতি চাগাই জেলার রেকোদিক শহরের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম সোনা ও তামার খনি বা মওজুদ পাওয়া গেছে। দুনিয়ার লুটেরাদের নজর কাড়ে এমন পাওয়া মওজুদই শুধু নয়, দক্ষিনে সাগরতীরবর্তী গদরসাগরের তীরে গোয়াদার জেলা শহরটি গড়ে উঠেছে বেলুচিস্তানের সমুদ্রবন্দর হিসেবে। বর্তমানে চীন দেশের সহায়তায় এই গোয়াদরে পাকিস্তান গড়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক মানের বড় একটি বন্দর ও নৌঘাঁটি। বেলুচিস্তানের এই সোনা ও তামা লুটপাটের জন্য পাকিস্তানের সাথে বিশ্বের লুটেরা ধনিকশ্রেণীর সখ্যতার কারণে পাকিস্তানের অমানবিক হত্যা নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্ব সমাজের কেউই প্রকটভাবে মুখ খুলছেন না বলেই মনে হয়। |