কমলগঞ্জে একমাসে ৫০টি গরু চুরি, আর্থিক ক্ষতি গুণছেন গৃহস্থরা; আতঙ্কিত কৃষক |
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চা বাগান সমুহে ব্যাপকহারে গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি রাতেই কোন না কোন বাড়ি থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতি গুণতে হচ্ছে গৃহস্থদের। গরু চুরির ঘটনায় কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। অনেক গ্রামে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাসে কমলগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার চা বাগান সহ বিভিন্ন বাড়িঘর থেকে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু চুরি হয়েছে। ১৭ মার্চ শমশেরনগর চা বাগানের গোপাল গোয়ালার একটি ডেকা গরু, ৬ এপ্রিল জগদিশ বাউরীর একটি গাভী, গুঞ্জরকান্দি গ্রাম থেকে ২টি গরু চুরি হয়েছে। এছাড়া গত সপ্তাহে বাঘিছঢ়া চা বাগান থেকে ২টি গরু, কানিহাটি চা বাগান থেকে ২টি, দেওছড়া চা বাগান থেকে ২টি, কুলাউড়ার তিলকপুর চা বাগান থেকে ১টি, চাতলাপুর চা বাগান থেকে ৩টি গরু চুরি হয়েছে। এভাবে উপজেলার শমশেরনগর, পতনঊষার, মুন্সিবাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে গরু চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শমশেরনগর চা বাগানের শ্রমিক গোপাল গোয়ালা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি রাতেই কোন না কোন বাড়ি থেকে গরু চুরি হচ্ছে। গরু চোর সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় রয়েছে। গরু চুরির বিষয়ে আমি ও জগদিশ বাউরী কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগও করেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। অথচ গরু চুরি হওয়ার কারনে এক একটি পরিবারে ৬০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকার আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকনজি বলেন, আমাদের যথাসাধ্য টহল চলছে এবং গরু চোর চক্রকে ধরার জন্যও আমরা সর্বাত্মক তৎপর রয়েছি। স্থানীয়দেরও সচেতন থাকার বিষয়ে তিনি পরামর্শ প্রদান করেন। |