দেশের সবচেয়ে বড় সীমন্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজার। পর্যটন ও পাহাড়ি জেলা হিসেবে পরিচিত এ জেলার সাতটি উপজেলার পাঁচটিই রয়েছে ভারতীয় সীমান্তে ঘেঁষা। ওই এলাকায় বৈধ পথে প্রবেশের দুটি চেক পোষ্ট থাকলেও চোরাই পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে বেশ কিছু পয়েন্ট দিয়ে। এই কারণে সম্প্রতি ভারতে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণের ‘ভ্যারিয়েন্ট’ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন এ জেলার সাধারণ মানুষ। কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান জানান, উপজেলায় গেল ২১ জানুয়ারি থেকে ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে মৌলভীবাজার জেলার মোট ১৪টি সীমান্ত ফাঁড়ি রয়েছে। তাই জেলাজুড়ে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক বিরাজ করছে। জুড়ী উপজেলার ফুলতলা সীমান্ত এলাকার বীরেন্দ্র দেব ও আরমান আলী বলেন- “আমরা ভারতের করোনা নিয়ে আতঙ্কে আছি। সীমান্ত বন্ধ করা হলেও চোরাইপথে লোকজন আসা যাওয়া করতে পারে। বিজিবিসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সচেতন করা প্রয়োজন।” জেলা সিভিল সার্জন জালাল উদ্দিন বুধবার দুপুরে জানান, জেলার সীমন্তবর্তী ৩টি বর্ডার দিয়ে আসা-যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে। এখানে নিরাপত্ত্বা ব্যবস্থাও জোরদার করা রয়েছে। ভারত থেকেও অবৈধ পথে আসা-যাওয়ার সুযোগ নাই। তিনি আরো জানান, সর্বশেষ ৪৮টি স্যাম্পুল এর মধ্য থেকে মৌলভীবাজারে নতুন করে আরো ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, জেলার প্রত্যেক সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি’র কঠোর নজরদারী রয়েছে। |