ভারত থেকে মৌলভীবাজারে ঢুকে পরায় বিজিবি’র হাতে আটক
৫৯ জনকে পুলিশে হস্তান্তর
মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী দিয়ে গত দুই দিনে ভারত থেকে পুশইন হওয়া মোট ৫৯ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে সংশ্লিষ্ট থানায় শুক্রবার সকালে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
জেলার বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম সরকার ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, গত দুই দিনে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রায় শতাধিক মানুষকে ‘পুশইন’ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ)। এদের মধ্যে কমলগঞ্জের ধলই সীমান্ত থেকে আটক ১৫ জনকে এবং বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল ও লাতু সীমান্ত থেকে আটক ৪৪ জনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন নারী পুরুষ ও শিশুরা। তারা সবাই বাংলাদেশের নড়াইল, খুলনা, বাগেরহাট, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজেদের আত্বীয় স্বজন ও পরিবার পরিজনের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা।
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় সৈয়দ নাবিল আলী (১০) নামে এক শিশুশিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিশুশিক্ষার্থীওই গ্রামের সৈয়দ বদরুলের ছেলে ও স্থানীয় বাবুরবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আহত নাবিলের বাবার অভিযোগ, তার পাশের বাড়ির তুয়াব আলী,রহমত,রিয়াদদের সঙ্গে তাদের পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে বুধবার দুপুরে নাবিলকে ডেকে নিয়ে তুয়াব আলী গংরা বে দরক মারদর করেন।
বদরুলের দাবি, জমি নিয়ে শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুমকরার চেষ্টা করছিল। এ বিষয়ে নাবিলের চাচা সৈয়দ বয়তুল আলী, রাজনগর থানায় একটি অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে পশ্চিম ভাগ গ্রামের পাঞ্চায়িেতর বিশিষ্ট মুরব্বি ও ওয়ার্ড বি এন পির সিনিয়র সহ- সভাপতি কুটি মিয়া বলেন,শিশু নাবিলের উপর হামলার ঘটণা সত্য তার বাবা নাবিলকে আমার কাছে নিয়ে এসে ছিল এসময় আমি সহ আমার বাড়ির নারী পুরুষ সবেই তাকে আহত আবস্থায় দেখেছি।
হামলাকারী তুয়াব আলী হামলার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, নাবিলের বাবা ঘটনাটি যত বড় করে দেখছেন ঘটণা তত বড় নায়
রাজনগর থানার ওসি মোহাম্মদ র্মোরশেদ হাসান বলেন, ঘটনাটি চড় তাপ্পরের বিষয় তদন্ত চলমান, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।