তারা আরো বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বংলাদেশ পাকিস্থান বা আফগানিস্থান নয়, জঙ্গিদের মনে রাখতে হবে এটা বাংলাদেশ, এখানে ধর্মের নামে উগ্রবাদ কায়েম করা যাবেনা। আজ যারা হেফাজতের ব্যানারে বাংলাদেশকে আফগানিস্থান বানানোর পরিকল্পনা করছে এরা কারা তাদের অতীত ইতিহাসের উল্লেখ করে বক্তাগন বলেন, এরা হল চরমোনাইর পীর ও মৌলানা আজিজুল হক যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্থানীদের পক্ষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের ফতোয়া দিয়েছিল। বাবুনগরী সহ হেফাজতের অধিকাংশই আফগান ফেরত তালেবান। এরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বুঝেনা ও চায়না। বার বারই এই গোষ্টী বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপন্থি কিছু দাবী উত্থাপন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগীতা করছে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতে ইসলাম। এরা লন্ডনে বসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একের পর এক দেশবিরোধী ষঢ়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে।
ভ্যার্চুয়্যাল এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইউকে আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হরমুজ আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী নইমুদ্দিন রিয়াজ, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্মসম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট এমসী কলেজের সাবেক ভিপি ইকবাল হোসোন, সর্বউইরোপীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডাঃ ফয়েজুল ইসলাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের মানবাধিকার বিষযক সম্পাদক সারব আলী, সাংবাদিক গবেষক মতিয়ার চৌধুরী, সাংবাদিক সুজাত মনসুর, সাংবাদিক মকিস মনসুর, আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্ক সেক্রেটারী এম এ সালাম, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হুসনেয়ারা মতিন, সাংস্কৃতিক কর্মি নাজমা হোসেন সহ বিভিন্ন সংগঠনের ২০জনেরও বেশী বক্তা। ভার্চুয়াল সভায় কানাডা আমেরিকা, ব্রিটেন ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে শত শত দেশপ্রেমিক নাগরিক অংশ নেন। রাতদশটা থেকে শুরু হয়ে সভা চলে রাত দুইটা অবদি।
লন্ডন ৭ই ডিসেম্বর ২০২০।
|