কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামে ভুঁয়া কাজী মৌলানা কেরামত আলী শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি কালেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী আলমগীর মিয়ার মেয়ে আকলিমা বেগম বাল্যবিবাহ রেজিষ্টি করা চেষ্টা করায় তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষজন। ভুঁয়া কাজী কেরামত আলী দীর্ঘদিন যাবত নিজেকে এলাকার কাজী পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন বিয়ে শাদীতে অংশগ্রহণ করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। কখনো নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা, কখনও আওয়ামীলীগ নেতা আবার কখনও বা বড় নেতার অনুসারী পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে এলাকায় বাল্য বিবাহের মুল হোতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মূলত স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াঝাঁটি মাধ্যমে তালাক সংক্রান্ত বিষয়েই তার ভাগ্য খুলে যায়। তালাকের ধরণ অনুযায়ী ফি দিতে হয় তাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক বাসিন্দা তার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের কাগজপত্র ঠিকটাক করে তিনি বাল্যবিবাহের ব্যবস্থা করে দেন। তার সাথে রয়েছে এলাকার একটি সিন্ডিকেটও। ছেলে-মেয়ে সংক্রান্ত ঝামেলা পাকিয়ে দীর্ঘদিন যাবত লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই প্রতারক চক্র। এলাকাবাসী আরো জানান, তারা ভুঁয়া কাজীর জ্বালায় অতিষ্ঠ।
গত ২০ জানুয়ারি এলাকায় ভুঁয়া কাজী একটি বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করে কাজীর ফি সহ সাংবাদিকদের নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায় করেন।
এ বিষয়ে কেরামত আলীর কাছে জানতে চাইলে, নিজে কাজী নয় বলে স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল হয়েছে আর কোন দিন একাজ করবো না।
ঘটনার বিষয়ে কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ওয়ার্ডে আমি কাজ করার কথা ছিল কেরামত আলী বইটি জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে অবৈধভাবে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।
রহিমপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মুজিবুর রহমান মুজিব জানান, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে টাকা আদায় এটা খুবই দু:খজনক। এ ব্যাপারে আমরা সামাজিক ভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেব।