1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
মনু ও ধলাই নদী খনন দাবীতে হাজার হাজার মানুষের অবস্থান কর্মসূচি - মুক্তকথা
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন

মনু ও ধলাই নদী খনন দাবীতে হাজার হাজার মানুষের অবস্থান কর্মসূচি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ৪ জুলাই, ২০১৮
  • ১৪৪২ পড়া হয়েছে
মনু, ধলাই ও কুশিয়ারার বানের ছোবলে প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

মনু ও ধলাই নদী খনন ও স্থায়ী বাঁধ নির্মানে প্রকল্প গ্রহনের দাবীতে

মৌলভীবাজারে হাজার হাজার মানুষের অবস্থান কর্মসূচি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। মনু ও ধলাই নদী খনন ও স্থায়ী বাঁধ নির্মানে প্রকল্প গ্রহনের দাবীতে মৌলভীবাজারে দু’ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ বুধবার, ৪ঠা জুলাই মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)এর সম্মুখে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে এই দাবী দাওয়ার কর্মসূচী। এসময় ব্যবসায়ী, প্রবাসী, রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে সহস্রাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
“মনু বাঁচাও, ধলাই বাঁচাও, বাঁচাও পরিবেশ” এই শ্লোগানকে ধারণ করে দুই নদীপাড়ের হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মৌলভীবাজার শহর দু’ঘন্টার জন্য করুন আর্তি আরতির ধ্বনিতে পরিনত হয়। ফি বছর মনু-ধলাইয়ের ভয়ঙ্কর বানভাসী থেকে বাঁচার তাগিদে এ ছিল মানুষের করুন আহাজারী- “নদী বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও, বাঁচাও আমাদের।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান ফটকের সামনে “মনু ও ধলাই পাড়ের সাধারণ জনগোষ্ঠির” পতাকায় আয়োজিত হয়েছিল এই অবস্থান কর্মসূচি। সকালের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে বন্যা থেকে স্থায়ী সমাধান পেতে ও ভিটে মাটি বাঁচাতে দলে দলে এসে সাধারণ মানুষ এতে যোগ দেয়।

পরিবেশবাদী সংগঠক ও নাট্যকার আ.স.ম সালেহ সোহেল ও মনু থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক কয়ছর আহমদের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, শাহবন্দর যুবসংস্থার প্রধান পৃষ্টপোষক নাট্যজন খালেদ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ সৈয়দ মুজিবুর রহমান, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমদ চুন্নু, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ নওশের আলী খোকন, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হামিদ মাহবুব, পৌর আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিন্টু, আ’লীগ নেতা সৈয়দ সলমান আলী, এডভোকেট শান্তি পদ ঘোষ, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যাপক মোঃ রফি উদ্দিন, বিজনেস ফোরামের সভাপতি নুরুল ইসলাম কামরান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, নিরাপদ সড়ক চাই(নিসচা) সভাপতি খিজির মোহাম্মদ জুলফিকার, জাসদ নেতা হাসান আহমদ রাজা প্রমূখ।
কর্মসূচিতে একাত্বতাপোষন করে বক্তব্য দেন জেলা আ’লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুর রহমান, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান। নেতৃবৃন্দ দাবীর সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে মনু ও ধলাই খনন ও বাঁধ নির্মানের জোরালো দাবী জানান। এছাড়াও বক্তাগন মৌলভীবাজার শহর রক্ষার জন্য ফাইলিং করে “আরসিসি ওয়াল” করার দাবী জানান। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক মিন্টু বলেন-“বিল্ডিংয়ে পিলার যেভাবে বসানো হয় সেভাবে শহরের অদুর থেকে ১ কিলোমিটার আরসিসি ওয়াল করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছি”।
তাৎক্ষনিক মনোভাব জানতে গেলে, মৌলভীবাজার পৌরসভা মেয়র ফজলুর রহমান বলেন, মনু নদীর থাবা থেকে জেলাবাসীকে মুক্ত করার জন্য অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্বতা পোষন করেছি। তিনি বলেন, আট মাস আগে মনু নদী খননে টেন্ডার দেয়া হয়েছে। মনু ও ধলাই বন্যার কবল থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় এজন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এরকম অবস্থা আর থাকবেনা।
জেলা আ’লীগ সভাপতি নেছার আহমদ একাত্বতা ঘোষনা করে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তৃতা দেন। তিনি অনুষ্ঠান শেষে এ প্রতিবেদককে বলেন, গত মাসের ২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমরা বসেছিলাম। সরকার মনু নদী খননে উদ্যোগী ও তৎপড়তা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও নিজে ওই এলাকার নদী খননসহ বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধান চান।
অন্যান্য বক্তাগন সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে অবস্থান কর্মসূচিতে বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় মনু নদীর উভয়তীর ও রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়ন মিলে প্রায় দেড় লাখ মানুষের ঈদ আনন্দ কেড়ে নিয়ে গেছে। যেদিন ঈদ হবে সেদিনই করালগ্রাসী মনু গ্রাস করে নেয় আশ-পাশের ঘরবাড়ি। মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদী এই অঞ্চলের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হলেও বর্তমানে বন্যার কারনে এই নদীগুলো অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ দু’পাড়ের মানুষকে বাঁচাতে এই দু’টি নদী খনন এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহনের জন্য অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা।
উলেখ্য, অতিসম্প্রতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মনু নদীর পানি বিপসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শহরের বড়হাট এলাকা দিয়ে মৌলভীবাজার শহরে পানি ঢুকে বাসা-বাড়িতে পানি উঠে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়াও রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকা দিয়ে মনুর পানি ঢুকে মনসুরনগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। আবার ভারত থেকে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সদর উপজেলা ও রাজনগর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হবার পর আবারো কালাইরগুল-খেয়াঘাটবাজার সড়কের ওয়াপধা বাঁধের “কালাইরগুল” এলাকা ভেঙ্গে উত্তরভাগ ও ফতেপুর ইউনিয়নের ২০-২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। মনুর ক্ষনস্থায়ী ও কুশিয়ারার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় তিন নদী পাড়ের মানুষের প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT