মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ হেফাজত-ই-ইসলামের যুগ্ন মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁওয়ের একটি স্বাস্থ্যনিবাসে নারীসহ আটক করে স্থানীয় মানুষজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই ঘটনার ভিডিও সারা গণমাধ্যম জগতে ছড়িয়ে পড়ে বিবেকমান মানুষকে অবাক করে দেয়। ওই ভিডিওটিতে দেখা যায় মামুনুল হক বলছেন যে নারীসহ তাকে সন্দেহমূলকভাবে সাধারণ মানুষ আগলে রেখেছিল ওই মহিলা তার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। তার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর পত্নি ছিলেন তিনি। তাদের বিবাহ ভঙ্গ হয়ে যাবার পর তিনি তাকে বিবাহ করেন।
ঘটনার কথা জানাজানি হলে কিছু সাংবাদিকও ওখানে উপস্থিত হয়। তারা মামুনুল হককে জিজ্ঞাসা করেন যে, এই নারী যদি আপনার বিবাহিত স্ত্রী হন তা’হলে গোপনে এই স্বাস্থ্যনিবাসে নিয়ে আসলেন কেনো? এর কোন সঠিক ন্যায্য উত্তর মামুনুল হক দিতে পারেননি।
তারা আরো জিজ্ঞাসা করেন, দু’বছর আগে বিবাহ করে থাকলে সময় কাটাতে তাকে গোপনে এখানে কেনো নিয়ে আসলেন এবং আপনি ফাঁকপথে চলে যাবার চেষ্টা করলেন কেনো? এরও কোন সদুত্তর মামুনুল হক দিতে পারেননি। এ নমুনার আরো অনেক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি ধর্মীয় সংগঠনের এই রাজনীতিক। মহিলার নাম তিনি বলেছেন তাইয়্যেবা কিন্তু মহিলা নিজে বলেছেন তার নাম জান্নাত আরা।
পরে পুলিশ তাকে সাধারণ মানুষের হাত থেকে রক্ষা করে নিরাপদে চলে যেতে দেয়।
জানা প্রয়োজন যে আজ শনিবার ৩ এপ্রিল রাত অনুমান ১০টায় ফেইচবুকে এসে মামুনুল হক নতুন কিছু কথা বলেন। তিনি বলেন, টানা পরিশ্রমের কারণে তার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। এ কারণে আজ ওখানে গিয়েছিলেন তিনি। তার সাথে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। পুলিশ না-কি তার কাছ থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। তার এই দ্বিতীয় স্ত্রী’র আগের তরপের দু’টি সন্তানও রয়েছে।
তিনি নিজে থেকেই আরও বলেন যে, ওখানে স্থানীয় কিছু সংবাদ কর্মীর সাথে কিছু যুবলীগ ও সরকারদলীয় লোক আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। তারা লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে হামলা ও আত্রমণ করেছে। গণমাধ্যমে ওইসব দেখে স্থানীয় মুসল্লীরা ওই রিসোর্টে এসে তাকে উদ্ধার করেছে।
মামুনুল হকের এই বক্তব্যের আগে রাত অনুমান ৮টায় নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ, হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয় সেখানকার হেফাজত কর্মীরা। এ সময় কয়েকশত হেফাজত কর্মী-সমর্থক ওই রিসোর্টে ভাঙ্গচুর চালায়।
গণমাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যম থেকে আরও জানা গেছে যে, ওখানকার পুলিশ বলেছে, মামুনুল হককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মামুনুল হক ওই নারীকে তার স্ত্রী দাবী করলেও কোন প্রমাণ করতে পারেননি কিছু দেখাতেও পারেননি।
উল্লেখ্য যে, আজ শনিবার বিকেলে সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কামরা থেকে এক নারীসহ মামুনুল হককে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তথ্য সূত্র: গণ ও সংবাদ মাধ্যম
|