শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী
আওয়ামীলীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সংসদের এক সময়ের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন। আজ বুধবার ১৬ অক্টোবর, দুপুরে রাজধানী ঢাকার একটি
বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বেগম মতিয়া চৌধুরী বাংগালী ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পথ দেখিয়েদের অন্যতম এক অসামান্য নারী নেতৃত্ব। তাকে, ষাট দশকের বাঙ্গালী ছাত্রসমাজ অগ্নীকন্য উপাধি দিয়েছিল। বাংলাদেশীদের ভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলনসহ বিভিন্নমুখী আন্দোলনের ইতিহাসে বেগম মতিয়া চৌধুরীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে এটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে মতিয়া চৌধুরী ছয়বার এমপি নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে গেছেন। নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলা নিয়ে গঠিত শেরপুর-২ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৯১ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন তিনি।
মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।
তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে অংশ নিতে শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন।
১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১ নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘এভারকেয়ার’ হাসপাতালের সাধারণ ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।