মৌলভীবাজারের মেয়র প্রার্থী, ফজলুর রহমান এর সমর্থনে, প্রাক্তন ছাত্রলীগের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ এক ভার্চুয়াল নির্বাচনী প্রচারণা সভার আয়োজন করে। পুরো অনুষ্ঠান, দু’টো অনলাইন টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে।
সভায় সকল বক্তারা বিগত দিনের মৌলভীবাজার পৌরসভার অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করে পৌরসভার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ফজলুর রহমানের বিকল্প নেই উল্লেখ করে ফজলুর রহমানকে পুনরায় মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করার তাগিদ এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পর্যটন শহর হিসেবে মৌলভীবাজার পৌরসভাকে গড়ে তুলার দাবীও জানিয়েছেন।
এখানে উল্লেখ্য যে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মৌলভীবাজার পৌরসভা সারা জেলার মধ্যে একটি আলাদা গুরুত্ব বহণ করে। তিন উপজেলায় নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় জেলা সদরের পৌরসভা নিয়ে জনমনে বাড়তি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার পর থেকে নিজ কর্মগুণে যে কয়জন চেয়ারম্যান ও মেয়র নাগরিকদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম ফজলুর রহমান। তাঁর হাত ধরেই পৌরসভা আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে। তাই বেশিরভাগ নাগরিকরাই মনে করেন বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমানের বিকল্প নেই।
গত পাঁচ বছরে রাস্তাঘাট প্রশস্তকরণ, কোদালী ছড়া, পৌর ঈদগাহ, সুপেয় পানি, প্রবীণাঙ্গন ইত্যাদি ক্ষেত্রে পৌরসভায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখতে ফজলুর রহমানের ধারাবাহিকতাকে প্রাধান্য দিতে পৌর নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, সৌন্দর্যপ্রিয় এই মানুষটির হাত ধরে নির্মিত হয়েছে একটি প্রবীণাঙ্গন। সেবক মনের এই মানুষটির হাত ধরে ইতিমধ্যে নির্মিত এই প্রবীণাঙ্গণে এখন সকাল বিকেল ফুল ফোটে, নবীন ও প্রবীনরা আরাম আয়েশে হাঁটাচলা করে থাকেন। এখানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ বিনোদন খোঁজে পান। রয়েছে শারিরিক চর্চা কেন্দ্র। কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই এই প্রবীণাঙ্গণে লোকজন ইচ্ছেমতো আসা-যাওয়া করতে পারেন।
শহরবাসীর দু:খ ছিলো কোদালী ছড়া। যে ছড়ায় পানি নিষ্কাষণ হতোনা। কিন্তু এই ছড়াকে তিনি এখন নৌকা চলাচলের উপযুক্ত করেছেন। এখন সকাল বিকেল নিরবধি পানি চলে ছড়া দিয়ে। তাঁর হাত ধরেই ইতিমধ্যে ছড়াকে শহরবাসীর সকাল বিকেলের হাটাচলা ও বিনোদনের উপযুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই শহরের সংস্কৃতিমনাদের দিকেও তাঁর নজর রয়েছে। তিনি মেয়র চত্বরে পৌরসভার পুকুর অংশে একটি মুক্তমঞ্চ করার পরিকল্পনা করেছেন। যার কাজ তিনি খুবই দ্রুতই শুরু করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সব বয়েসী মানুষের বিনোদনের জন্য তিনি চাঁদনীঘাট ব্রিজের পশ্চিমপাশ থেকে নদীর কোল ঘেঁষে একটি বিনোদন কেন্দ্র প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। অচিরেই সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
নির্বাচন সন্নিকটে থাকায় দিনরাত চলছে তাঁর প্রচারণা। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠন দিনরাত তাঁর বিজয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উঠোন বৈঠক, সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণসহ তাঁর বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন বিশাল কর্মীবাহিনী। নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে নেই তিনিও। এসব প্রচারণার মাঝেও তিনি থেমে নেই। পৌর নাগরিকের যেকোন সমস্যা সমাধানে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যেকোন নাগরিকের সমস্যার কথা শুনতে মোবাইল ফোন ধরছেন এবং সমস্যাগুলো সাথে সাথেই সমাধান করার ব্যবস্থা করছেন।
অনুষ্ঠানে পৌরমেয়রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার একটি চিত্র অংকের ক্রমানুসারে তুলে ধরা হয়। যাতে বলা হয়, ১.শান্তিবাগে বিউটিফিকেশন ও গাইডওয়াল নির্মান এবং ওয়াকওয়ে যাহা ফরেষ্ট রোড থেকে শুরু হয়ে জেলা পোস্ট অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
২.শহরের ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতা আনার লক্ষ্যে সাড়ে এগারো কোটি টাকা ব্যয়ে ডাম্পিং ষ্টেশন নির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
৩.এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংকের ৯০% অর্থায়নে ১১কোটি ৯২লক্ষ ৮০হাজার টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকার প্রায় ২০টি সড়কের উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
*বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য সেট্রাল রোড ও কুদরতউল্লা রোডে ৩কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরসিসি রোড ও ড্রেইন নির্মান
*সৈয়দ মোস্তফা আলী রোডের উন্নয়ন
*গীর্জা পাড়ার উভয় রাস্তার উন্নয়ন
*সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সাজ্জাদুর রহমান(পুতুল) সাহেবের বাড়ীর সামনের রাস্তা আরসিসি করন সহ উভয় পাশে ড্রেইন নির্মান।
*বেরি লেইককে সময়োপযোগী, ব্যবহারউপযোগী ও আধুনিকরনের উদ্দেশ্যে ডিজাইনের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
৪.কুদালী ছড়ার উভয় পাশে গাইড ওয়াল, ওয়াকওয়ে, লাইটিং, বসার জায়গা সহ সিসি ক্যামেরা সুবিধা সুনিশ্চিত করন।
৫.কাশিণাথ রোডের দিঘির চারিপাশের চলমান গাইড ওয়ালের কাজ সমাপ্তি সহ মহিলারা যাতে সকাল বিকাল নিরাপদে হাটতে পারেন সেজন্য সিসি ক্যামেরার সুবিধা সহ ওয়াকওয়ে ও বসার জায়গা নির্মান। গোসলের সুবিধার জন্য সুন্দর দুটি ঘাটের সংযোজন।
৬. বরহাট ও ফরেষ্ট অফিস রোড এলাকার বস্তি/কলোনীতে বসবাসকারীদের গোসলের সুবিধার জন্য মনু নদীর তীরে দুটি উন্নত মানের ঘাট তৈরী।
৭.ঈদগাহের অসম্পূর্ণ কাজের সমাপ্তিকরন।
৮.উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া মৌলভীবাজারবাসীর দীর্ঘ দিনের সমস্যা দূরীকরণে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ ক্রমে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এবং জেলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার দাবী বাস্তবায়নে সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে তদবিরকে জোরদার করা।
৯. মনু নদীর উপর দিয়ে বরহাট-সাবিয়া সেতু নির্মানের দাবী বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া। উল্লেখ করা ভাল যে, এবারকার মৌলভীবাজার পৌরসভার মোট ভোটার ৪৩৪৪৬ জন। পুরুষ ভোটার ২২৭৫০ এবং মহিলা ভোটার ২০৬৯৬জন।
মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট সোসাইটি ইনক ইউএসএর সাবেক সভাপতি সুহান আহমদ টুটুল এর সভাপতিত্বে এবং ইন্টারন্যাশনাল ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের অন্যতম সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা রাধা কান্ত ধর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল নির্বাচনী সভায় মেয়র প্রার্থী, বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ছাড়া ও বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার জেলার সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে মোস্তাক আহমদ অপু, বীজিত ধর মণি, নজরুল ইসলাম অকিব, আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, রায়হান আহমদ, নিলু রানা, সৈয়দ ওমর ফারুক মণি, রুহুল আমিন রুহেল, ফয়জুর রহমান আবুল, জাকারিযা পলাশ, আব্দুল বাছিত, রায়হান আহমদ রফি, মোহিত আফজল, রাধাকান্ত ধর, শাহ শাফি কাদির, রুপম আহমেদ, সালাম বখ্স, অলক সিংহ, জুয়েল তরফদার, মুহিদ রহমান, মোহাইমিন পারভেজ, খায়রুল আলম লিংকন, জয়নাল ইসলাম, এম কে আহমদ বাদল, আমানুর রহমান রাইহান, এস এস দুলাল, জাকির আখতারুজ্জামান ও মোহাম্মদ মকিস মনসুর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। |