মৌলভীবাজার অফিস।। শুক্রবার ১৭ই চৈত্র ১৪২৩।। লন্ডনপ্রবাসী সাইফুর রহমানের দু’টি বাড়ীর বড়হাটের বাড়ীতে আজ শুক্রবার দিনগতরাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশী অভিযান শেষ হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। অভিযান এখনও চলছে। আমাদের প্রতিনিধির সাথে মৌলভীবাজারে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মাঝে মাঝে থেমে থেমে কেবল দু’একটি গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। জঙ্গি আস্তানার দু’কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ধারা জারি রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ এখনও কোন সংবাদ কর্মিদের ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যেতে দেয়নি।
জঙ্গিদের বিষয়ে কিছু নতুন তথ্য: মালিক সাইফুর রহমান তার বাড়ী দু’খানার তত্ত্বাবধানের জন্য তারই মামাতো বোনের স্বামী জুয়েলকে দায়ীত্ব দেন। পুলিশ, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জুয়েলকে আটক করেছে দু’দিন আগেই। মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটের বাড়ির ভাড়াটে সম্পর্কে জুয়েলের কাছ থেকে জানা গেছে, বেলাল নামে এক ব্যক্তি সেখানে ভাড়া নিয়েছে নিজেকে একটি কোম্পানির ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে। বড়হাটের জঙ্গি ঘাঁটি থেকে সকাল সাড়ে ছ’টার দিকে প্রথম গুলি করা হয়। সম্ভবত সেটি পিস্তলের গুলি ছিল।
ফতেহপুরের(নাসিরপুর) অসংখ্য বৃক্ষশোভিত ওই বাগানবাড়ীতে মূলত তিনটি পৃথক টিনশেড বাড়ি আছে। একটিতে জুয়েল পরিবার নিয়ে থাকেন। এক ঘরের একটি বাড়িতে একজন রিকশাচালক থাকেন। অন্য বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। সেখানে তিনটি ঘর রয়েছে। ভাড়া দেওয়ার আগে বাড়ির মালিক লন্ডন থেকে এলে এখানে থাকতেন। জুয়েলের কথা, নাসিরপুরের টিনশেড বাড়িটিতে গত জানুয়ারিতে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ওঠে। নাম মাহফুজ। বলেছিল বাড়ি টাঙ্গাইলে। নিজেকে একটি কোম্পানির ডিলার হিসেবে পরিচয় দেয়। সাত হাজার টাকায় বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়। ঘরে তার সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ি, চার শ্যালিকা, স্ত্রীসহ আটজন থাকত। এর মধ্যে শিশুও রয়েছে।