আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার।। পর্যটন জেলা শহরের মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে কুরবানী পশুর হাট। মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে গবাদী পশুর এই হাট। সরেজমিনে বাজার ঘুরে গত শনিবার সন্ধ্যা ও রোববার ১৯শে আগষ্ট বিকেলে দেখা যায়, বাজারের ভিন্ন চিত্র। শনিবার সন্ধ্যায় পশুর তেমন আনাগুনো নেই বলেলই চলে। বিক্রেতা হাতে গুনা ক’জন ক্রেতারও তেমন একটা দেখা নেই।
শনিবার সন্ধ্যায় পাবনা-সিরাজগঞ্জ থেকে আসা রফিকুল নামে এক গরু পাইকারের সাথে আলাপ হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ২০ টি ষাঢ় নিয়ে এই হাটে এসেছি। তার সাথে এসেছেন শহিদুল ও শফিকুল নামে আরো দুই পাইকার। রফিকুল বলেন, “এবারে বাজারটা ঢিল”। “যে দাম দিয়ে গরু কিনে আনছি ক্রেতারা সেই দামও কয় না”। তিনি তার এলাকার খামারীদের কাছ থেকে ৮০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের গরু কিনেছেন বলে জানানা। রফিকুল আরো জানান, মৌলভীবাজারে আরো দুইবার এসে গরু বিক্রি করে লাভমান হয়েছেন তিনি। ৮০ হাজার টাকা দামের গরুর ওজন কত হতে পারে জানতে চাইলে বলেন, সাড়ে৩ থেকে ৪মন ওজন হবে।
পৌরসভার আয়োজনে এই স্টেডিয়াম মাঠে হাট ইজারা এনেছেন শেখ রুমেল আহমদ গংরা। জুবায়ের আহমদ নামে ইজারাদার পক্ষের একজনের সাথে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় আলাপ হয়। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে রোববার বিকেল চারটা পর্যন্ত একটা গরু বিক্রি হয়নি। কেন গরু বিক্রি হলোনা জানতে চাইলে বলেন, প্রকট রৌদ্রের কারণে মানুষ বাজারে আসতে চায়না। তাছাড়া পাশের বাড়ি থেকে ক্রেতারা গরু কিনে নেয়। এতে তাদের রশীদ কিনতে হয়না। অবশ্য এখন থেকে গরু বেচাকেনা শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
শহরের পার্শ্ববর্তী হিলালপুর এলাকা থেকে শেখ আবুল শাকিল নামে এক পাইকার সাড়ে ৩লাখ টাকা মূল্যে “কালা বাবু” নামের একটি বিশাল আকৃতির ষাড় নিয়ে আসেন রোববার বিকেলে। তিনি জানান, এটা ৪লাখ টাকা হেঁকেছেন। সাড়ে ৩লাখ টাকা পেলে বিক্রি করবেন। তিনি আরো বলেন, বাজারে গরু কম কাষ্টমারও মোটামুটি। মাতারকাপন এলাকার আবুল বারি নামে এক ক্রেতা জানান, এবারে গরুর দাম খুব একটা বেশী নয়।