করোনা টিকা প্রদান, নমুনা সংগ্রহ, রোগীদের পরিচর্যা, করোনা সামগ্রী ক্রয়, প্রশিক্ষণ ও করোনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য মস্ত্রণালয় মৌলভীবাজারে বরাদ্ধ দেয় ২ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫ হাজার ৮’শ ৮৮ টাকা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই টাকা খরচ না করায় ফেরত গেল প্রায় কোটি টাকা। জেলার সচেতন নাগরিকরা বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসিনতার কারনে এমনটি হয়েছে। এদিকে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়েছে তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের
|
রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সে আলোকে বাড়ানো হয়নি
|
||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বরাদ্দ এসেছিল ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮’শ ৪৮ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ২’শ ৫ টাকা, রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ১৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭’শ ৬০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ১৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩’শ ৮০ টাকা, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ৯’শ ৬০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ২০ লক্ষ ২৩ হাজার ২’শ ৯৫ টাকা, জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ১৫ লক্ষ ৯১ হাজার ২’শ ৪০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭’শ টাকা, বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ২১ লক্ষ ১৭ হাজার ৬’শ ৮০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ১৭ লক্ষ ২ হাজার ৯’শ ৭৫ টাকা, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ১৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫’শ ২০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ১৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬’শ টাকা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার ৫’শ ২০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ১২ লক্ষ ৩৯ হাজার ২’শ ৪ টাকা। এদিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ৭৬ লক্ষ ৯১ হাজার ২’শ এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৬০ টাকা বরাদ্দ আসলে পুরোটাই ব্যয় করা হয়। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সেন্ট্রাল অক্সিজেন
|
লোকবলের সংকট থাকায়
|
সুনির্দিষ্ট ব্যয়ের
|
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বর্ণালী দাশ বলেন, প্রশিক্ষণ, টিকা প্রদান ও নমুনা সংগ্রহ বাবত আমার উপজেলায় টাকা খরচ করা হয়েছে। পুরো অর্থ বছর পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে বরাদ্দকৃত টাকা খরচ করতে পারতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোকবলের সংকট থাকায় টিক মতো কাজ করা সম্ভব হয়নি। |