1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
মৌলভীবাজারে করোনা খাতে বরাদ্দ এককোটি টাকা ফেরত গেলো - মুক্তকথা
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজারে করোনা খাতে বরাদ্দ এককোটি টাকা ফেরত গেলো

বিশেষ প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার, ৪ জুলাই ২০২১ইং
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১
  • ৫২৯ পড়া হয়েছে

করোনা টিকা প্রদান, নমুনা সংগ্রহ, রোগীদের পরিচর্যা, করোনা সামগ্রী ক্রয়, প্রশিক্ষণ ও করোনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য মস্ত্রণালয় মৌলভীবাজারে বরাদ্ধ দেয় ২ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫ হাজার ৮’শ ৮৮ টাকা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই টাকা খরচ না করায় ফেরত গেল প্রায় কোটি টাকা। জেলার সচেতন নাগরিকরা বলছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদাসিনতার কারনে এমনটি হয়েছে। এদিকে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় হয়েছে তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
দেশে সংক্রমন বৃদ্ধির কয়েকটি জেলার মধ্যে প্রবাসী অধ্যূষিত ও সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার জেলা অন্যতম। গত কয়েকদিন যাবত করোনা নমুনা পরীক্ষা গড়ে অর্ধেকই পজেটিভ আসছে। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জেলাবাসী। দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সে আলোকে বাড়ানো হয়নি আইসিইউ, সিসিইউ কিংবা অক্সিজেন শয্যা। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এখন পর্যন্ত জেলার কোনো হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়নি। এনিয়ে কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের। জেলার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ মন্তব্য করছেন, ফেরত যাওয়া টাকা সঠিকভাবে কাজে লাগালে পরিস্থিতির এতো অবনতি হতো না।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের
উদাসিনতার কারনে এমনটি হয়েছে।

রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সে আলোকে বাড়ানো হয়নি
আইসিইউ, সিসিইউ কিংবা অক্সিজেন শয্যা

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বরাদ্দ এসেছিল ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮’শ ৪৮ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ২’শ ৫ টাকা, রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ১৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭’শ ৬০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ১৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩’শ ৮০ টাকা, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ২৫ লক্ষ ১২ হাজার ৯’শ ৬০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ২০ লক্ষ ২৩ হাজার ২’শ ৯৫ টাকা, জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ১৫ লক্ষ ৯১ হাজার ২’শ ৪০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭’শ টাকা, বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ২১ লক্ষ ১৭ হাজার ৬’শ ৮০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ১৭ লক্ষ ২ হাজার ৯’শ ৭৫ টাকা, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ১৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫’শ ২০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ১৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬’শ টাকা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ এসেছিল ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার ৫’শ ২০ টাকা এর মধ্যে ফেরত গেলো ১২ লক্ষ ৩৯ হাজার ২’শ ৪ টাকা। এদিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ৭৬ লক্ষ ৯১ হাজার ২’শ এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৬০ টাকা বরাদ্দ আসলে পুরোটাই ব্যয় করা হয়।

সেন্ট্রাল অক্সিজেন
প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়নি

লোকবলের সংকট থাকায়
টিক মতো কাজ করা
সম্ভব হয়নি।

সুনির্দিষ্ট ব্যয়ের
কোনো পরিকল্পনা দেয়নি
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বর্ণালী দাশ বলেন, প্রশিক্ষণ, টিকা প্রদান ও নমুনা সংগ্রহ বাবত আমার উপজেলায় টাকা খরচ করা হয়েছে। পুরো অর্থ বছর পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে বরাদ্দকৃত টাকা খরচ করতে পারতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোকবলের সংকট থাকায় টিক মতো কাজ করা সম্ভব হয়নি।
জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ বলেন, গত অর্থ বছরে কয়েকজন ছুটিতে ছিলেন আবার লোকবলও কম ছিল। যার কারণে পুরো টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, সুনির্দিষ্ট ব্যয়ের কোনো পরিকল্পনা দেয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব টাকা খরচ করা সম্ভব হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে টাকা সরাসরি সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পাঠানো হয়। যার কারণে ব্যয়ের বিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার ছিল না। তবে আন্তরিকতার সহিত কাজ করলে হয়তো আরও কিছু কাজ করা সম্ভব হতো।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT