মুক্তকথা।। মৌলভীবাজার অফিস।। মৌলভীবাজারে গাছ কাটার ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গল থানার ভবানসাকিন তফসীল-এর একটি টিলা থেকে গত ৪ নভেম্বর সকালে শত শত ইউকেলিপটাস বৃক্ষ কেটে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে সদর উপজেলার বিন্নী গ্রামের মৃত কদর মিয়ার পুত্র মনর মিয়া। এ নিয়ে ভাতিজা মনর ও চাচা আদর মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা-মোকদ্দমা চলছে।
মনর মিয়া জানান, ঘটনার সময় মৌলভীবাজারের বাহিরে থাকায় তার চাচা আদর মিয়া কয়েকজনকে পাঠিয়ে তার ৩/৪শ ইউকেলিপটাস বৃক্ষ কেটে নেন। তিনি আরো বলেন, ওই সরকারী খাস ভূমি বন্দোবস্তের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদন করেছি। তবে, তার চাচা আদর মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার টিলার গাছ আমি কেটে এনেছি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মামলায় জর্জরিত সকল ভূমি-খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। এই টিলা থেকে অবাধে বহু গাছ কাটা হয়েছে। বহুদিন ধরে এলাকার লোকজন ওই খাস ভূমি দখল করে রেখেছে। এই সময় দখল নিয়ে ও গাছ কাটা নিয়ে প্রায় সবসময় মামলায় জড়িয়ে থাকে। এতে গ্রামবাসীদের যন্ত্রনার অন্ত নেই।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই ফজলুর রহমান জানান, চাচা-ভাতিজার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ এ সমস্যা চলে আসছে। তারা সরকারের কাছে এই খাস ভূমি বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু এতে কারো দলীল নাই। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছের প্রকৃত মালিক যারা তারা গাছ কাটছে। তবে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ আদালতে ১১টি মামলা চলছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আমরা তাদের তাগিদ দিয়ে আসছি। এদিকে ওই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মনর মিয়া ও চাচা আদর মিয়ার মধ্যে শত্রুতা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোন সময় এ নিয়ে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। এলাকাবাসী জানিয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি ভূমিহীনদের নামে ওই খাস ভূমি বন্দোবস্ত বা অন্য কোনভাবে এর সুরাহা করেন তবেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।