সমুদ্র থেকে উৎপত্তি ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে সারা দেশের সাথে মৌলভীবাজারে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার দিন শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত ও কনকনে ঠাণ্ডার ঝড়ো হাওয়া দিয়ে। বন্ধ হয়ে গেছে জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ। জানা যায় এ কারনে সারাদিন জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ঘন্টা পর পর আসা যাওয়া করছিল এবং বিকেল ৫টা থেকে একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১টা অবদি প্রায় ৮ ঘন্টা একঠানা বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত থাকে শহরবাসী।
এ লম্বা সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়ির লোকজন আলো ও পানি সমস্যায় ভুগেছেন নিদারুণভাবে। কেউ কেউ অন্ধকারের কারণে জরুরি কাজে এদিক সেদিক বের হতে পারেননি। একাধিকবার জানতে চাইলে মৌলভীবাজারের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের(ওয়াপধা) নির্বাহী প্রকৌশলী মো.ফজলুল করিম রাত সাড়ে ৯টায় জানান, মৌলভীবাজার জেলাসহ পুরো সিলেট বিভাগের ৩৩ কেভি জাতীয় গ্রিড লাইনে বিপর্যয় ঘটে বিদ্যুৎ সরবারাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাত ১টা ১৫ মিনিটে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে তাদের দুটি পৃথক কারিগরী টিম কাজ করছে। আশা করছি বিদ্যুৎ ফিরে আসবে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি হঠাৎ করে প্রচণ্ড রকমের শক্তিশালি হয়ে উঠেছে বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সংযোগস্থলের উপরে। ফলে ওই ৩ বিভাগের মিলিত স্থলের জেলাগুলোর উপর দিয়ে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারের বেশি বেগে বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। কুমিল্লা, নরসিংদী, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর জেলার উপরে দিয়ে যে ভারি বৃষ্টি ও শক্তিশালি বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে তার সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
পাউবো জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি হঠাৎ করে দিক পরিবর্তন করে এখন চট্টগ্রাম, ঢাকা, ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে খুবই ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।