লন্ডন: বিনামূল্যে বন্টনকৃত সংবাদপত্র ‘ইভিনিং ষ্ট্যান্ডার্ড’ মূল্যবান একটি খবর প্রকাশ করেছে। যে খবরের পাছায় লেপ্টে আছে বহু অঘটন ঘটনের দূর্গন্ধময় কাহিনী। শুনতে অবাক লাগে, মনে কষ্ট হয়। একবিংশ শতাব্দির এ দুনিয়ার সেরা গুটিকয়েক শহরের একটি লন্ডনেও এমন হতে পারে! তৃতীয় বিশ্বের দেশের মত এখানেও প্রতারণা জুয়াচুরি হয়! আর শুধু কি মামুলি প্রতারণা। এমন প্রতারণা বিশ্বের কোথায়ও ইতিপূর্বে ঘটেছে বলে আমরা শুনিনি। শিশু সন্তানসহ শতাধিক মানুষকে জ্বলেপুড়ে আঙ্গার হয়ে সেই প্রতারণার খেসারত দিতে হয়েছে। এর পরও কি দুনিয়ার শান্তির শহর বলে লন্ডন দাবী করতে পারে?
পত্রিকাটি সংবাদের শিরোনাম দিয়েছে ‘প্রতারণার সন্ধান…’। অগনিত মানুষের নির্মম ও ভয়ঙ্করভাবে আগুনে মৃত্যুবরণ ও সেই অগ্নিকান্ডে বিধ্বস্ত লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারের ‘অগ্নি সংকেত’ পদ্বতির দায়ীত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার কোম্পানী এবার কাগজে কলমে দূর্ণীতি ও প্রতারণার অভিযোগে বৃটেনের ‘ফ্রড স্কোয়াড পুলিশ’ কর্তৃক তদন্তাধীন আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা লন্ডনের শতাধিক বহুতল ভবনে ‘নিরাপত্তার ত্রুটীপূর্ণ’ সরঞ্জাম লাগিয়েছিলেন।
গৃহায়ন সেবা কোম্পানী ‘লেইকহাউস’ প্রতারণার একটি মারাত্মক অভিযোগ তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে বর্তমানে রয়েছে। হেকনি কাউন্সিল কর্তৃক আনীত এক অভিযোগের তদন্ত করছে বৃটেনের ‘ফ্রড স্কোয়াড পুলিশ’। কাউন্সিলের মালিকানাধীন বাসগৃহ সমূহে ১৮৮ মিলিয়ন পাউন্ডের সরকারী দানের অর্থে অগ্নি ও ধোঁয়া সংকেত এবং জরুরী বিদ্যুত ব্যবস্থা সংযোজনে প্রতারণা হয়েছে এমন অভিযোগের উপর হেকনী কাউন্সিল ও পুলিশ এ তদন্ত শুরু করেছে। এই “লেইক হাউস কোম্পানী” পুরে যাওয়া ‘গ্রেনফেল টাওয়ার’এর অগ্নি সংকেত পরীক্ষা ও রক্ষনাবেক্ষনের দায়ীত্বে ছিল এবং ওই টাওয়ারের বেশ কিছু বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন যে এসব কোনকিছুই কাজ করেনি। ‘ইভিনিং ষ্ট্যান্ডার্ড’ এভাবে লিখেই খবর প্রকাশ করেছে।
তদন্তের শুরুতে ১০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও গতানুগতিরক ধারায় ‘লেইক হাউস কোঃ’ প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।