মুক্তকথা সংবাদ।। চা ও পর্যটনের জেলা হিসেবে মৌলভীবাজারের পরিচিতি রয়েছে দেশে এবং বিদেশেও। বিশেষকরে সিলেটি সম্প্রদায়ের বিশালাকারের লোকজন রয়েছেন বিলেত, আমেরিকা কানাডাসহ বহু ইউরোপীয়ান দেশে। ইদানিং শুধু বিলেতে নয়, বিশ্বের প্রায় বড় বড় নামকরা শহরগুলিতে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর বসবাস গড়ে উঠেছে। ফলে বেশ বড় সংখ্যায় বিদেশীরা বাংলাদেশ দেখতে আসে। তাদের দেখার মূল বিষয় থাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও বাংলাদেশের মানুষের বৈদিক যুগীয় জীবনযাত্রা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিদেশীরা এসব দেখে।
বাংলাদেশের একমাত্র বড় ঝর্ণা ‘হাম হাম’। বিদেশীদের এমন আনা-গোনাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানকে দর্শকদের জন্য সুগম করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন কর্মসূচী হাতে নিয়ে কাজ করে চলেছে। কমলগঞ্জের “হাম হাম ঝর্ণা”ও তেমনি একটি স্বর্ণখনির চেয়েও দামী দর্শনীয় স্থান। “হাম হাম” সারা বাংলাদেশের মাঝে একমাত্র বড় আকারের প্রাকৃতিক ঝর্ণা। প্রতিবছর হাজার হাজার দেশী-বিদেশী দর্শক এটি দেখার জন্য এসে ভিড় জমায়। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে কোন সুগম রাস্তা নেই। কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী চাম্পারায়-হামহাম রাস্তাই এই প্রাকৃতিক নৈস্বর্গ দেখে উপভোগের একমাত্র রাস্তা। ফলে, সুন্দর মনোরম সুগম্য রাস্তা নির্মাণ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে উক্ত রাস্তা উন্নয়নের কাজ চলছে গত দু’বছর ধরে।
জানা যায়, ওই রাস্তাটি পাকাকরণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে যে, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে এবং দীর্ঘকাল ক্ষেপন করা হচ্ছে। এই ১৮৫০ মিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করণের দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু করা হয় ২০১৭ সালের শেষ দিকে। এর ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। এ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ। গণমাধ্যম থেকে পাওয়া অভিযোগে জানা যায়, উক্ত সড়ক উন্নয়ন কাজটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে থাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কেউ এ কাজটি ঠিকমত তদারকি করছেন না। ফলে ঠিকাদারের লোকজন সিডিউল না মেনে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তা পাকাকরণে। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সিডিউল অনুযায়ী ইটের খোয়া ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে স্মরণ করিয়ে নির্দেশ দিলেও নির্দেশনা মানছে না ঠিকাদার।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে যে কাজটি তার প্রতিষ্ঠানের নামে হলেও মূলতঃ কাজটি করছেন একজন প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার লোকজন। এ বিষয়ে নাক না গলাতেই বলেন ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক।