লণ্ডন।। সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল এবং তার মেয়ে ইউলিয়াকে বিষাক্ত নার্ভ গ্যাস প্রয়োগে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মস্কোর প্রতি হুঙ্কার দিয়েছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেশা মে। তিনি বলেছেন মস্কো উপযুক্ত জবাব না দিলে ২৩জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করবে বৃটেন। এমনকি বৃটেন মস্কোর সাথে সকল যোগাযোগ বাতিল করে দেবে এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও ডাক দেবে।
রাশিয়ায় দূরবৃত্তায়নের মাধ্যমে গড়ে উঠা নব্য ধনিক শ্রেণী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তেরেশা মে বলেছেন বৃটেনে পাচার করা তাদের সম্পদের বিষয়ে তার সরকার নজর রাখছে এবং কিভাবে এসব অবৈধ সম্পদকে জব্দ করা যায় তা ভেবে অগ্রসর হবেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আনয়নের পক্ষে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। একই সাথে বৃটেন সরকার নিরাপত্ত্বা পরিষদের জরুরী সভা আহ্বানের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধান মন্ত্রীর এমন যাবনিক হুঙ্কারে রাশিয়া সাথে সাথেই উত্তর দিয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত রুশ প্রতিনিধি আলেক্সান্দার ইয়াকোভেনকো প্রধানমন্ত্রী তেরেশা মে’র এ হুঙ্কারকে একতরফা উসকানি এবং অগ্রহনযোগ্য বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এর আগে ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মুখপাত্র ডিমিত্রি পেশকভ একটু উপহাসের সুরেই বলেছেন, ‘বৃটেনে ঘটা দূর্ঘটনার জন্য রাশিয়া কি করতে পারে।’
এদিকে বৃটিশ সংসদে বিরুধী শ্রমিকদলীয় নেতা জেরেমি করবিন প্রশ্ন রেখে বলেছেন মারণাত্মক এই নার্ভ এজেন্টের নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কেনো মস্কোর কাছে না দিয়ে উল্টো অযথাই উদ্বেগের জন্ম দেয়া হচ্ছে। তিনি সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সাংসদদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপপূর্ণ কথার উল্লেখ করে বলেন যে সাংসদগন জানতে চান কোন প্রমানের উপর ভিত্তি করে ক্রেমলিনকে দোষারূপ করা হচ্ছে।
ঠিকই যদি ২৩জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয় তা’হলে এটি হবে বৃটেনের বিগত ৩০বছরের জীবনে বিদেশী কূটনীতি খেদানোর সবচেয়ে বড় ঘটনা। সূত্রঃ বিভিন্ন সংবাদ পত্র ও গণমাধ্যম