ঘটনার পর তারাহুড়া করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রেস্টুরেন্টের পাশের কক্ষে ফেলে রাখে তার সহকর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ জলাল নামের একজনকে আটক করেছে। নিহত তানিম শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনয়নের রায়পরান গ্রামের মুহিত মিয়ার ছেলে। তানিম প্রায় ৩ মাস যাবৎ ওই রেস্টুরেন্টে কাজ করছে।
নিহতের নিকট আত্মীয়রা জানান, শনিবার দিবাগত রাত ৮টায় নিহত কিশোর তানিম এবং রেষ্টুরেন্ট কর্মচারী হবিগঞ্জ জেলা সদরের জলাল মিয়ার(৫৫)-এর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে জালাল তানিমকে ঝাড়ু ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে।
তার মাথায়, কান ও গলায় জখম আছে। নিহতের মামাতো ভাই জমসেদ মিয়া রোববার রাত ৮টায় বলেন, আহত অবস্থায় তানিম তা’কে বলেছে যে, রেস্টুরেন্টের কর্মচারী জলাল ও পাশের পান দোকানদার বদরুল ও আজিজুল মিলে তা’কে প্রচন্ড মারধর করেছে। তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে তানিমের বাবা, রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সবুজ ও তিনি(জমসেদ মিয়া) মিলে তাকে ঘটনাস্থল থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয়। রোববার বেলা ২টায় মারা যায় তানিম।
তানিমের মৃত্যুর সংবাদ রোববার ছড়িয়ে পড়লে রেস্টেুরেন্টের অন্যান্য কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি(তদন্ত) মশিউর রহমান জানান, ওই ঘটনায় জলাল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে রোববার রাত ৮টায় খান্দানী রেস্টুরেন্টে গেলে দেখা যায়, রেস্টুরেন্টটি তালাবদ্ধ ও সাথের পান দোকানও তালাবদ্ধ। ওই সময়ে একদল পুলিশ রেস্টুরেন্ট ঘিরে রেখেছে। মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই নাজমুল ইসলাম হোটেলে থাকা সিসি ফুটেজ দেখে ঘটনার আলামত বের করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সিসি ফুটেজ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোন আলামত বের করতে পারেন নি।
Comments are closed.
বাংলাদেশ সকল ধর্মের প্র্যাকটিস আছে কিন্তু মানবতার চাষ এখনো শুরু হয়নি।
আস একবিংশ শতকে আমরা মানবতার চাষ করি।