লন্ডন: মঙ্গলবার, ১৮ই পৌষ ১৪২৩।। একটি ভিডিও ছবি প্রকাশ হয়ে পড়ার পর মায়ানমার সরকার ৪জন সীমান্ত পাহাড়ার পুলিশ অফিসারকে আটক করেছে। নিউইয়র্ক টাইমস এ প্রকাশ হয়ে যাওয়া উক্ত ভিডিও তে দেখা যায় দু’জন পুলিশ কর্মি অস্থির রাখাইন সীমান্তে নিরীহ সাধারণ মানুষকে মারধর করছেন। ভিডিও প্রকাশের পর প্রায় ২ লাখ মানুষ সে ভিডিওটি দেখেছেন। ফলে ব্যাপক জনমতের চাপ সৃষ্টি হয়েছে মায়ানমার সরকারের উপর চলমান এই রোহিঙ্গা মুসলমান নির্যাতন বনাম সরকারী কর্তৃপক্ষের মধ্যের বিরোধকে নিষ্পন্ন করার জন্য।
উপর থেকে রাখাইন রাজ্যের দু’টি গ্রামের দৃশ্য। আগের এবং জ্বালিয়ে দেয়ার পরের দৃশ্য। “কিয়েৎ ইয়ো পিন” গ্রামটি ছবির বায়ে ৩০শে মার্চ ও ১০ই নভেম্বর তোলা। “ওয়া পেইক” নামের গ্রামটি আগের ২০১৪ সালে তোলা ও পরে গত ১০ নভেম্বর তোলা। -ছবি কৃতিত্ব “হিউমেন রাইট ওয়াচ” ভায়া রয়টারস। (নিউইয়র্ক টাইমস)
নিউইয়র্ক টাইমসের ভাষ্যে জানা যায় গত শনিবার ফেইচবুকে এই ভিডিওটি প্রকাশ পায়। ভিডিওতে দেখাযায় একজন সামরিক পোষাক ও অস্ত্রে সজ্জিত অফিসার দু’জন নিরস্ত্র মানুষকে পা দিয়ে লাথি ও চাবুক মারছেন। অন্য একজন অফিসারের মত দেখতে মাথায় হেলমেট মনের সুখে সিগারেটে ফুঁক দিচ্ছেন। এ ভিডিও টি মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ২লাখ মানুষ দেখেছেন।
দীন মোহাম্মদ ও স্ত্রী রশীদা তাদের কতিপয় সন্তান নিয়ে বাংলাদেশের টেকনাফে একটি শরণার্থী শিবিরে। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা হাজার হাজার শরণার্থীদের তারা কয়েকজন। ছবিটি গত সপ্তাহের। ছবি কৃতিত্ব: মোনিরুজ্জামান, এজেন্স ফ্রান্স প্রেসে।-গেটি ইমেজ।(নিউ ইয়র্ক টাইমস)
মায়ানমারের নেত্রী শান্তির জন্য নোবেল বিজয়ী অং সাং সু চি, সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানমার সরকার পরিচালিত রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। বহু মানবাধিকার সংস্থা সু চি’র পদক্ষেপকে এক্ষেত্রে খুবই দূর্বল ও ব্যর্থ বলে দেখছে।
সু’ চি’ র অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মায়ানমারের পুলিশ, এ ঘটনার জড়িত ৪জন অফিসারকে আটক করেছে এবং তারা শাস্তি পাবে।(নিউইয়র্কটাইমস থেকে)
#Myanmar Holds Officers After Video Purports to Show Police Beating #Rohingya https://t.co/dqH6lN5hnV
— Ro Nay San Lwin (@nslwin) January 3, 2017