লণ্ডন।। আজ গেল ২৫শে মার্চ। উনিশ’শ একাত্তুরের এই তারিখে পাকবর্বর হায়েনা বাহিনী দুনিয়ার নৃসংশতম সর্ববৃহৎ গণহত্যা চালিয়েছিল বাঙ্গালীদের উপর। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত নিরীহ কোটি কোটি নারী-পুরুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এই ২৫শে মার্চের গভীর রাতে। সে রাতে ঘুমন্ত শিশুও রেহাই পায়নি হায়েনাদের হাত থেকে। পৃথিবীর জঘন্যতম ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে একই রাতে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে।
ভয়াল সেই কালো রাতের গণহ্ত্যায় আত্মাহুতি দেয়া লক্ষ লক্ষ শহীদদের স্মরণে ও তাদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্য ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাত ৯টায় এক “আলোর মিছিল”এর আয়োজন করে। জ্বলন্ত প্রদীপ হাতে দাঁড়িয়ে জানা-অজানা অগনিত লাখো সেই সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একই সাথে, এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকার করে নেয়ার দাবীতে প্রদীপ হাতে দাঁড়িয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ আর বৃহৎ গণহত্যা বলে স্বীকৃতি আদায়ের পাশাপাশি হায়েনা পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিচারের দাবীর কথা উচ্চারণ করে সকল বক্তাই সভায় বক্তব্য রাখেন। ভিন্নধর্মী ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন লণ্ডন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের অবসরপ্রাপ্ত প্রেস অফিসার মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান।
সভায় একই দাবীতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা থেকে আগত ড. সেলিম জাহান, আনসার আহমদ উল্লাহ, কবি সাহিত্যিক শামীম আজাদ, সাপ্তাহিক জনমতের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাশ পাশা, বিশিষ্ট রাজনীতিক হাবিব রহমান, যুক্তরাজ্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি এডভোকেট সাংবাদিক হারুনূর রশীদ, যুক্তরাজ্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ(একাংশ)এর সভাপতি লোকমান হোসেন, যুক্তরাজ্য উদীচীর সভাপতি সমাজকর্মী হারুন অর রশীদ, অজন্তা দেবরায় প্রমুখ। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ আনাশ পাশা।